তবে ঘটনা বিশেষে যথাযথ পদক্ষেপের জন্য আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা দরকার বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় আইন কমিশন৷ বিশেষত যে ঘটনাগুলিতে না বুঝেই ১৬ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে শিশুরা শারীরিক সম্পর্কে সম্মতি দিয়ে েফলে, সেই সমস্ত ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে পদক্ষেপ করা যেতে পারে৷
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ঘুরতে যাবেন? কীভাবে মেলে ভিসা, জানুন গোটা প্রক্রিয়া
advertisement
শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সম্মতি দেওয়ার ধর্তব্যযোগ্য বয়স নিয়ে বিতর্ক বাড়তে থাকায় বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপের জন্য গত বছর ডিসেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় সংসদকে উদ্যোগী হতে বলেছিলেন৷ কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রককে জমা দেওয়া রিপোর্টে আইন কমিশন দাবি করেছে, শিশু সুরক্ষার বর্তমান আইনগুলি, আদালতের বিভিন্ন নির্দেশ এবং শিশুদের উপরে নির্যাতন, পাচারের বিভিন্ন ঘটনা পর্যালোচনা করে তাদের মনে হয়েছে, পকসো আইনে শারীরিক সম্পর্কে সম্মতি দানের ন্যূনতম বয়সসীমা কমানোর পক্ষে তারা নয়৷
আইন কমিশনের মতে, বহু ক্ষেত্রেই জোর করে অথবা ভুল বুঝিয়ে সম্মতি আদায় করা হয়৷ কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, নির্যাতনকারী নির্যাতিতা শিশুটির পরিচিত, এমন কি একই পরিবারের সদস্য৷ সেক্ষেত্রে সম্মতি দানের বয়সসীমা কমিয়ে দেওয়া হলে পকসো আইন তার কার্যকরিতা হারিয়ে শুধুমাত্র খাতায় কলমে থেকে যাবে বলেই মনে করছে আইন কমিশন৷
তার উপরে, তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ অথবা তদন্তকারী সংস্থা যদি জানতে পারে যে নির্যাতিতার সম্মতি আদায় করা হয়েছিল, তাহলে আদালতে বিচারের আগে পুলিশই নির্যাতনের ঘটনাকে প্রেম বা ঘনিষ্ঠতার পরিণতি বলে ধরে নেবে৷