১৯ সেপ্টেম্বর, গণেশ চতুর্থীর আগে গোলাপি পোশাকে সজ্জিত লালবাগচা রাজার প্রথম চেহারা দেখা গেল শুক্রবার। তাঁর মূর্তি উন্মোচন করা হয় গতকাল। এরই সঙ্গে মুম্বইয়ের গণেশোৎসব সূচনার ইঙ্গিত মিলল।
advertisement
পুতলাবাই চলের এই লালবাগচা রাজা বা ‘লালবাগের রাজা’ মুম্বইয়ে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বলিউড তারকারা জমান লালবাগচা রাজাকে দেখতে। লক্ষ লক্ষ মুম্বাইবাসী প্রতি বছর লালবাগের সামনে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থাকেন এই গণেশ মূর্তির ঝলক পাওয়ার জন্য।
গণেশ চতুর্থী উদযাপন শুরু হবে ১৯ সেপ্টেম্বর। উৎসব শেষ হবে ২৮ সেপ্টেম্বর (অনন্ত চতুর্দশী)। সমাপ্তিতে অনুষ্ঠিত হবে মহা বিসর্জন।
লালবাগের ইতিহাস শুরু হচ্ছে ১৯০০ শতকের প্রাক্কালে। মুম্বইয়ের পারেলজুড়ে ছিল টেক্সটাইল মিলের আধিপত্য। ১৯৩০-এর দশকে যখন শিল্পায়ন হল, টেক্সটাইল মিলগুলির জীবন ও জীবিকা প্রভাবিত হয়। শোনা যায়, সেখান স্থানীয়রা, যাঁরা বেশিরভাগ জেলে এবং ব্যবসায়ী সাহায্যের জন্য তাদের প্রিয় ঈশ্বর গণেশের কাছে গিয়েছিলেন। তাঁদের একটি প্লট দেওয়া হয়, যা বর্তমানে লালবাগ বাজার নামে পরিচিত। স্থানীয়দের কাছে এটিই ছিল গণেশের আশীর্বাদ। তাঁর প্রতি অগাধ সম্মান দেখিয়ে তাঁরা গণপতির পুজোর জন্য জমির একটি অংশ চিহ্নিত করে রাখেন। এই জমিতে লালবাগচা রাজা সার্বজনীন গণেশ উৎসব মণ্ডল প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর এখানেই মূর্তি স্থাপন করা হয়। বিভিন্ন পোশাক পরিয়ে রাজা হিসেবে সমাদৃত করা হয়।
আরও পড়ুন: আর মাত্র দেড় মাস! কেতু গোচরে ৫ রাশির জীবনে ঘোর সঙ্কট, অর্থকষ্ট, মানসিক চাপে জেরবার
পরবর্তীকালে এই উদযাপনের জাঁকজমক এবং আকার বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন আবার প্যান্ডেল প্রতিযোগিতাও হয়।।
কেবল উদযাপন নয়, গণেশ উৎসব মণ্ডল তার সামাজিক কাজের জন্যও পরিচিত। কমিটির সদস্যদের থেকে জানা যায়, ডায়ালাইসিস সেন্টার চালানো থেকে শুরু করে বন্যার ত্রাণ কাজে সাহায্য করা, জনহিতকর কাজে অন্যতম ভূমিকা পালন করেন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের অনন্ত আম্বানি।