আরও পড়ুন: মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ড! মধ্যপ্রদেশে হাসপাতালে আগুন, ৪ শিশুর মৃত্যু
রিপোর্ট (Lakhimpur Violence) হাতে পেয়ে চক্ষুচড়কগাছ তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের। সূত্রের খবর, মোট ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। ঘটনার দিন পালানোর সময় আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি চালিয়েছিল অভিযুক্তরা। যদিও কেউ গুলিবিদ্ধ হননি সেদিন। কৃষকদের অভিযোগ ছিল, গুলি চলেছে মন্ত্রী-পুত্রের রাইফেল থেকেই। শেষমেষ ফরেন্সিক রিপোর্টে কৃষকদের সেই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
advertisement
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ছেলের রাইফেল থেকেই গুলি চলেছিল।’ আশিসের সঙ্গী আর এক অভিযুক্ত অঙ্কিত দাসের পিস্তলও ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। লখিমপুর-কাণ্ডে (Lakhimpur Violence) ফরেন্সিক রিপোর্ট সামনে আসার পর তাই কার্যত বিপদ বাড়ল মন্ত্রী-পুত্রের। ঘটনায় মৃতদের শরীরে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনও চিহ্ন না মিললেও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া গাড়িগুলিতে গুলির ক্ষত চিহ্নিত করেছিল পুলিশ।
উল্লেখ্য, সোমবার লখিমপুরকাণ্ডে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের তদন্তের শ্লথ গতি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে রাজ্য পুলিশের তরফে জমা দেওয়া পরপর দুটি ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ নিয়েও বিস্তর ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল আদালত। সোমবারও রাজ্য সরকারের জমা দেওয়া ‘স্টেটাস রিপোর্ট’-এ তেমন কিছুই নেই বলে মন্তব্য করেছেন সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমন।
আরও পড়ুন:গাড়ি চালকদের জন্য বড় খবর! এই নথি না থাকলেই ১০ হাজার টাকা জরিমানা, হতে পারে জেলও...
পাশাপাশি লখিমপুর-মামলার তদন্তে নজরদারি চালানোর জন্য পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নিয়োগের কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। গত ৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে গাড়ি চাপা দিয়ে কৃষক খুনের অভিযোগে তোলপাড় গোটা দেশ। ওই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার বেশ কয়েকদিন পর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।