মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চণ্ডীগড় পুলিশের কনস্টেবল স্বপ্নার মৃতদেহ একটি গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেহ বের করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দেহটি কম্বল দিয়ে ঢাকা ছিল এবং মুখ থেকে রক্ত ও ফেনা বের হচ্ছিল।
advertisement
পোস্টমর্টেম রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, স্বপ্নার মাথার পেছনে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসকদের অনুমান, হয় কোনও ভারী বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছে, নয়তো মাথা শক্ত কোনও কিছুর সঙ্গে আছড়ে মারা হয়েছে। এছাড়াও, তার চোখের কাছে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
স্বপ্নার বাবা অনিল কুমার সরাসরি জামাই পরভিন্দরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেন, “আমার জামাই একজন নেশাগ্রস্ত মানুষ। সে জুয়ায় আসক্ত এবং মাঝেমধ্যেই আমার মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া করত। কয়েক মাস আগে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল, তখন স্বপ্নাই তাকে বাঁচিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার মেয়েরই প্রাণ কেড়ে নিল!”
পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, স্বপ্নার স্বামী দীর্ঘদিন ধরেই তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করছিল এবং টাকার জন্য চাপ দিত। স্বপ্নার ভাই গৌরব পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তিনি জানান, তার দিদির বিয়ে ২০১৪ সালে পরভিন্দরের সঙ্গে হয়, যিনি পুলিশে কর্মরত। কিন্তু দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না। পরভিন্দর প্রায়ই স্বপ্নার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করত, মারধর করত এবং টাকার জন্য চাপ দিত।
গৌরব আরও জানান, ২০২৪ সালের জুন মাসেও পরভিন্দর স্বপ্নাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। স্বপ্নার নিখোঁজ হওয়ার পর স্বপ্নার স্বামীই প্রথম তার পরিবারকে জানায় যে, সে কাজে যায়নি এবং তার ফোনও বন্ধ রয়েছে। পরভিন্দরকে আটক করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷
পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনার স্থানে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছে। স্বপ্নার স্বামী পরভিন্দরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে।