আজ ঠিক সকাল ১১.৪৫ নাগাদ এনসিসি থানায় যান কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সেখানে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হওয়ার পরে কুণাল ঘোষ সহযোগিতা করেছেন বলে চিঠিও দেওয়া হয় থানার তরফে। কিন্তু বেরনোর মুখেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কুণাল। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে য়াওয়া হয়।
থানায় জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব অবশ্য মসৃণ হয়নি। অভিযোগ দফায় দফায় ভোগান্তির মুখে পড়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক। কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "খোয়াই থানা নোটিস দিয়েছিল। ১০ দিনে আসতে হবে। আমি চার দিনেই যাব বলি। ফোনে আইও-কে জানাই ২১/৯ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটায় খোয়াই থানায় যাব। ২০ তারিখ, সোমবার আগরতলা আসি। খোয়াই থানা আমাকে ফোন করে জানায় খোয়াই আসবেন না। আমরাই আগরতলা যাচ্ছি। এনসিসি থানায় ১২ টায় আসুন। আমি কিন্তু খোয়াই যেতে তৈরি ছিলাম।"
advertisement
আরও পড়ুন-রাজনৈতিক পরিযায়ীরা আধা রুটির স্বপ্ন দেখাচ্ছেন... নাম না করে তৃণমূলকে তোপ বিপ্লব দেবের
কুণাল ঘোষের আরও অভিযোগ, ভিত্তিহীন অভিযোগের মামলাটি ত্রিপুরা পুলিশ করেছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে। দল হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে। কোর্ট বলেছে এখন চার্জশিট দেওয়া যাবে না। কুণালের কথায়, "তবু ওরা জেরার নামে ডেকে হয়রান করছে। তবু আমি খোয়াই যেতে তৈরি ছিলাম। পুলিশই জায়গা বদল করল।"
প্রসঙ্গত সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কুনাল ঘোষ-সহ তৃণমূলের মোট ৬ জন নেতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। সেই মামলার ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ত্রিপুরায় যাওয়া কুণাল ঘোষের।
এদিকে ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিল এখনও অনিশ্চিত। ত্রিপুরা সরকারের যুক্তি কোভিড বিধি এবং পূজার কারণে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ত্রিপুরায় কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অনুমতি দেওয়া যাবে না। এর আগে যথাক্রমে ১৫, ১৬ এবং ২২ সেপ্টেম্বর মিছিলের অনুমতি চেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতিবারই পুলিশি টালবাহানার মুখে পড়তে হয়েছে দলকে।