জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে ছত্তীসগড়ে বেড়াতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ইন্দ্রজিৎবাবুর পরিবার৷ গত ৫ অক্টোবর ছত্তীসগড়ের ছিলপি ভ্যালরি কাছে কাওয়ারধা-জবলপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপরে একটি লরির সঙ্গে গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে ইন্দ্রজিৎ বাবুর স্ত্রী এবং ছোট মেয়ে আদ্রিতি সহ মোট পাঁচ জনের মৃত্যু হয়৷ আদ্রিতির দিদিও গুরুতর আহত হয়৷
দুর্ঘটনার সময় ইন্দ্রজিৎবাবু কলকাতায় ছিলেন৷ খবর পেয়ে ছত্তীসগড়ের হাসপাতালে পৌঁছন তিনি৷ গত ৭ অক্টোবর ছত্তীসগড়ের হাসপাতালে স্ত্রী এবং মেয়ের দেহ শনাক্ত করার পর শেষকৃত্যের জন্য শ্মশানে পৌঁছন তিনি৷
advertisement
অচেনা শহরে প্রিয়জনকে হারানো একজন মানুষকে এই দুর্ভাগ্যজন পরিস্থিতিতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারাই ইন্দ্রজিৎবাবুর সাহায্যে এগিয়ে আসেন৷ তখনই ইন্দ্রজিৎবাবু তাঁদের জানান, সেদিনই তাঁর ছোট মেয়ের জন্মদিন ছিল৷
এ কথা শুনে স্থানীয় বাসিন্দারাই উদ্যোগী হয়ে আদ্রিতির স্মরণে কেক, বেলুন, ফুল নিয়ে আসেন শ্মশানে৷ শেষ বারের মতো মেয়ের জন্মদিন পালন করেন ইন্দ্রজিৎবাবু৷ মেয়ের শেষকৃত্যের আগে কেক কেটে হ্যাপি বার্থডে গান গেয়ে মেয়ের জন্মদিন পালন করেন তিনি৷ এর পরই মেয়ে এবং স্ত্রীকে দাহ করেন ইন্দ্রজিৎবাবু৷ এখন তাঁর একমাত্র লক্ষ্য বড় মেয়েকে সুস্থ করে ফিরিয়ে আনা৷
ছত্তীসগড়ের শ্মশানের এই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে৷ বাবা এবং মেয়ের চিরবিচ্ছেদের এই দৃশ্য দেখে, চোখের কোণ ভিজে উঠেছে অনেকেরই৷ একই সঙ্গে হতভাগ্য একজন পিতার পাশে এভাবে দাঁড়ানোর জন্য কাওয়ারধার মানুষের প্রশংসাও করেছেন অনেকে৷