TRENDING:

Diwali Carbide Gun: বাজির নামে বোমা বিস্ফোরণের মরণফাঁদ! ‘কার্বাইড গান’ ফাটাতে গিয়ে দৃষ্টিশক্তি হারাল ১৪ জন শিশু! চোখের সমস্যায় আক্রান্ত ১২২ খুদে!

Last Updated:

Diwali Carbide Gun:মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলতি দীপাবলির মরশুমে গত ৩ দিনে ১২২-এর বেশি শিশু চোখের সমস্যায় আক্রান্ত৷ তাদের মধ্যে ১৪ জন দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে৷ সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা বিদিশা৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বিদিশা: প্রতি বছর দীপাবলীতে নতুন ট্রেন্ড জনপ্রিয় হয় শব্দবাজি এবং আতশবাজি দু’ ক্ষেত্রেই৷ চড়কি, রকেট থেকে শুরু করে ফানুস-সেই ধারায় এ বছর নতুন সংযোজন ‘কার্বাইড গান’ বা ‘দেশি ফায়ারক্র্যাকার গান’৷ এ বছর বাচ্চাদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় এই শব্দবাজি দুঃস্বপ্নের মতো হয়ে উঠেছে তাদের বাবা মা এবং ডাক্তারদের কাছে৷ মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলতি দীপাবলির মরশুমে গত ৩ দিনে ১২২-এর বেশি শিশু চোখের সমস্যায় আক্রান্ত৷ তাদের মধ্যে ১৪ জন দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে৷ সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা বিদিশা৷ অভিযোগ, সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিদিশার স্থানীয় দোকানগুলিতে প্রকাশ্যে অবাধে বিক্রি হয়েছে এই কার্বাইড গান৷
এই শব্দবাজি দুঃস্বপ্নের মতো হয়ে উঠেছে তাদের বাবা মা এবং ডাক্তারদের কাছে
এই শব্দবাজি দুঃস্বপ্নের মতো হয়ে উঠেছে তাদের বাবা মা এবং ডাক্তারদের কাছে
advertisement

১৫০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া এই কার্বাইড গান বিক্রি হয়েছে খেলনার মতো৷ কিন্তু এর আওয়াজ হার মানাবে বোমা বিস্ফোরণের বিকট শব্দকেও৷ হাসপাতালে এখন সুস্থ হয়ে উঠছে সতেরো বছর বয়সি নেহা৷ সেই কিশোরী কান্নাভেজা কণ্ঠে বলে, ‘‘আমরা একটি ঘরে তৈরি কার্বাইড বন্দুক কিনেছিলাম। যখন এটি বিস্ফোরিত হয়, তখন আমার একটি চোখ সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।’’

advertisement

আর একজন আক্রান্ত রাজ বিশ্বকর্মা স্বীকার করেছেন, ‘‘আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও দেখে বাড়িতে একটি বাজি তৈরির বন্দুক তৈরি করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এটি আমার মুখে বিস্ফরিত হয় এবং আমি আমার চোখ হারিয়ে ফেলি।’’ বিদিশা জেলার পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে অবৈধভাবে এই বন্দুকগুলি বিক্রির জন্য ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে। ইন্সপেক্টর আর কে মিশ্র বলেন, ‘‘তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই কার্বাইড বন্দুকগুলি বিক্রি বা প্রচারের জন্য দায়ীদের আইনি পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।’’

advertisement

ভোপাল, ইন্দোর, জব্বলপুর এবং গোয়ালিয়রের হাসপাতাল জুড়ে, চক্ষু চিকিৎসার ওয়ার্ডগুলিতে এই বন্দুকের আঘাতে আহত অনেক শিশুর চিকিৎসা চলছে। শুধুমাত্র ভোপালের হামিদিয়া হাসপাতালেই ৭২ ঘণ্টায় ২৬ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। ডাক্তাররা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় অভিভাবকদের সতর্ক করছেন৷ বলেছেন, ‘‘এটি কোনও খেলনা নয়, বরং একটি ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক।’’ হামিদিয়া হাসপাতালের সিএমএইচও মনীশ শর্মা বলেন, ‘‘এই যন্ত্রটি চোখের সরাসরি ক্ষতি করে। বিস্ফোরণের ফলে ধাতব টুকরো এবং কার্বাইডের বাষ্প নির্গত হয় যা রেটিনা পুড়িয়ে দেয়। আমরা বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে চিকিৎসা করছি যেখানে শিশুদের চোখের পিউপিল ফেটে যায়, যার ফলে স্থায়ী অন্ধত্ব হয়।’’

advertisement

কিছু রোগীর আইসিইউতে চিকিৎসা চলছে৷ এবং অনেকেরই হয়তো আর কখনও পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়া যাবে না। জানা গিয়েছে, শিশুরা প্লাস্টিক বা টিনের পাইপ ব্যবহার করে ‘কার্বাইড বন্দুক’ তৈরি করছে৷ সেগুলোতে বারুদ, দেশলাইয়ের কাঠির বারুদের অংশ এবং ক্যালসিয়াম কার্বাইড ভরে একটি গর্তের মধ্য দিয়ে জ্বালাচ্ছে৷ ফলে কার্যত রাসায়নিক বিক্রিয়া এবং কৌতূহলের একটি মারাত্মক মিশ্রণ।

advertisement

আরও পড়ুন : চলন্ত ট্রেনেই আরামে স্নান! বাঙ্কে ওঠার আরামদায়ক সিঁড়ি! ব্যক্তিগত কেবিন! বিলাসবহুল হোটেলকেও হার মানাবে বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন! কবে কোথায় চলবে? জানুন বিশদে

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ভাইফোঁটার থালায় 'তুবড়ি-চরকি', একদিনেই বর্ধমানের বাজার কাঁপিয়ে দিল এই মিষ্টি
আরও দেখুন

যখন মিশ্রণটি জ্বলে ওঠে, তখন এটি একটি তীব্র বিস্ফোরণের কারণ হয়, যা ধ্বংসাবশেষ এবং জ্বলন্ত গ্যাসকে চালিত করে, প্রায়ই সরাসরি মুখ এবং চোখে আঘাত করে। পুলিশ বলছে, স্থানীয় মেলা এবং রাস্তার পাশের দোকানগুলিতে বন্দুকগুলি ‘মিনি কামান’ হিসেবে বিক্রি হচ্ছে, কোনও নিরাপত্তা বিধি ছাড়াই। এই বিপজ্জনক প্রবণতার পেছনে আসল কারণ হল ইনস্টাগ্রাম রিল এবং ইউটিউব শর্টস। ‘ফায়ারক্র্যাকার গান চ্যালেঞ্জ’ নামে ট্যাগ করা ভিডিওগুলি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে কিশোর-কিশোরীদের লাইক এবং ভিউয়ের জন্য বন্দুক ছুড়তে দেখা যাচ্ছে।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Diwali Carbide Gun: বাজির নামে বোমা বিস্ফোরণের মরণফাঁদ! ‘কার্বাইড গান’ ফাটাতে গিয়ে দৃষ্টিশক্তি হারাল ১৪ জন শিশু! চোখের সমস্যায় আক্রান্ত ১২২ খুদে!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল