যার পরে মা-ছেলের জুটি সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে ছিনিয়ে নিচ্ছেন।বিন্দুর ছেলে যখন দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ত, তখন থেকে সে তাঁর মাকে পড়াশুনায় উৎসাহ দিতে শুরু করে৷ ছেলের উৎসাহেই এই সময় তিনি ফের বই পড়া শুরু করেন। এভাবে পড়তেই পড়তেই তিনি কেরলের পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য নিজেকে মোটিভেট করেন। পরে মা-ছেলে দুজনেই পিএসসি পরীক্ষায় পাস করার জন্য একসঙ্গে কোচিংয়ে যোগ দেন।
advertisement
আরও পড়ুন - ও মা কিছুক্ষণের জন্য যেন আকাশে উড়লেন, স্যাম বিলিংসের ক্যাচ এখন ভাইরাল ভিডিও
এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁরা সব কথা জানিয়েছেন৷ বিন্দুর ছেলে বিবেক তাঁর সাফল্য সম্পর্কে বলেছিলেন যে ‘‘ আমরা কোচিংয়ের প্রস্তুতি নিতে একসঙ্গে গিয়েছিলাম।’’ গর্ব করে তার বাবা-মা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিবেক আরও বলেন, "আমার মা আমাকে এখানে নিয়ে এসেছিলেন। সেই সঙ্গে আব্বা আমাদের জন্য সব সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করে দেন। আমরা শিক্ষকদের কাছ থেকে অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছি। আমরা দুজনে একসঙ্গেই লেখাপড়া করেছি, কিন্তু কখনও ভাবিনি যে আমরা একসঙ্গেই পিএসসি পরীক্ষার যোগ্যতা অর্জন করব। আমরা দু'জনেই খুব খুশি।’’
আরও পড়ুন - এশিয়া কাপের দলে থাকা কেএল রাহুল কি আদৌ ফিট, পরীক্ষা করবে বিসিসিআই নইলে কার ভাগ্যে ছিঁড়বে শিকে
অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষিকা বিন্দু
নিজের লেখাপড়ার পাশাপাশি বিন্দু গত ১০ বছর ধরে একজন অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষিকাও। মায়ের পড়াশোনার নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছেলে বিবেক৷ টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘মা সব সময় পড়াশুনো করতে পারেন না। সময় পেলে ও অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষিতার দায়িত্ব পালনের পরই পড়াশোনা করতে পারতেন।’’
এদিকে বিন্দুও জানিয়েছেন যে তিনি 'লাস্ট গ্রেড সার্ভেন্ট' (এলডিএস) পরীক্ষায় পাস করেছেন, এবং সেখানে ৯২ তম স্থান পেয়েছেন, এদিকে তাঁর ছেলে বিবেক লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক (এলডিসি) পরীক্ষায় পাস করেছে এবং ৩৮ হয়েছে৷
বিন্দু আরও বলেছিলেন যে তিনি এলডিএসের জন্য ২ বার এবং এলডিসির জন্য ১ বার চেষ্টা করেছিলেন। যেগুলিতে তিনি পাস করতে পারেননি৷ এটি ছিল তাঁর চতুর্থবারের চেষ্টা৷ তাতে তিনি সফল হন। যদিও তাঁর আসল লক্ষ্য আইসিডিএস সুপারভাইজার পরীক্ষা , তাই এলডিএস পরীক্ষায় পাস করা তাঁর কাছে একটি 'বোনাস'।