পশ্চিমবঙ্গেও কয়েক মাস আগে তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সংঘাত চরমে পৌঁছয়৷ যার জেরে রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য বিধানসভায় বিল আনে সরকার৷ রাজ্যপালের জায়গায় আচার্য পদে বসানো হয় মুখ্যমন্ত্রীকে৷ সেই বিল রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়ে রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে৷
আরও পড়ুন: কাজ হল না মোদির ফোনেও, হিমাচলের ভোটে লড়ছেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা
advertisement
তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যপালকে সরিয়ে আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসালেও কেরল সরকার সেই পদে একজন বিশেষজ্ঞকে বসানোর পরিকল্পনা করেছে বলেই সূত্রের খবর৷
আরও পড়ুন: চরম বিপদে অনুব্রত মণ্ডল, এক পদক্ষেপেই খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে ইডি!
গত বেশ কিছু দিন ধরে কেরলের রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিচালনা, উপাচার্য নিয়োগের মতো বিষয়গুলি নিয়ে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের সঙ্গে কেরল সরকারের সংঘাত চরমে পৌঁছেছে৷ ইতিমধ্যেই কেরলের এগারোটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নোটিস পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান৷ যার বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন উপাচার্যরা৷
এই সংঘাতের পরিবেশেই রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য অর্ডিন্যান্স তৈরি করেছে কেরল সরকারের আইন দফতর৷ আজ কেরল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অর্ডিন্যান্স নিয়ে আলোচনাও হয়েছে৷
কেরলের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী আর বিন্দু দাবি করেছেন, রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উন্নতির লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তবে রাজ্য সরকারের এই অর্ডিন্যান্সের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান সই করবেন কি না তা নিয়ে সংশয় থাকছেই৷