সূত্রের খবর, সংঘর্ষে অন্তত দুই থেকে তিন জন জঙ্গি জড়িত, যাদের অধিকাংশই বিদেশি বলে মনে করা হচ্ছে। কাশ্মীর জোন পুলিশ এক্সে পোস্ট করে জানিয়েছে, এনকাউন্টার এখনও চলছে এবং বাহিনী তাদের কাজ করছে। ইতিমধ্যেই এলাকাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে, এবং অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে যাতে কোনো জঙ্গি পালিয়ে যেতে না পারে।
advertisement
খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, এই কাশ্মীরেই বয়ে গিয়েছে রক্তের গঙ্গা৷ তার যোগ্য উত্তর দিয়েছে ভারতীয় সেনা৷ এই ঘটনার আগে, চলতি সপ্তাহেই শ্রীনগরের কাছে ‘অপারেশন মহাদেব’-এ তিন কুখ্যাত জঙ্গি—সুলেমান ওরফে ফয়জল জাত, জিবরান এবং হামজা আফগানিকে নিকেশ করে বাহিনী। তারা পাহেলগাঁও হামলার মূল অভিযুক্ত ছিল, যেখানে পর্যটকদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে জানিয়েছেন, পাহেলগাঁও হামলার সময় উদ্ধার হওয়া কার্তুজ ও অস্ত্রের ফরেনসিক রিপোর্টে পরিষ্কার মিল পাওয়া গিয়েছে ডাচিগামে উদ্ধার হওয়া M9 ও AK-47 রাইফেলের সঙ্গে।
বিশেষ সূত্রের খবর অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরে বিগত কিছু মাস ধরেই জঙ্গি কার্যকলাপ ফের বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম, অনন্তনাগ ও শোপিয়ান এলাকাগুলোতে পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষিত জঙ্গিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা একেবারে তৎপর রয়েছে এবং উপত্যকায় জঙ্গি দমন অভিযানে কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না। গোটা রাজ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।