কিছু গোপন আস্তানার ছবিও সামনে এসেছে, যাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সন্ত্রাসীরা একটি গর্ত খুঁড়ে গাছ এবং উপর থেকে শুকনো পাতা দিয়ে ঢেকে রেখেছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আস্তানাটি পাথরের মধ্যে এমনভাবে লুকিয়ে রেখেছে, যেটা দেখে সাধারণ ফাটলের মতো মনে হয়েছে। তাদের নকশা ও লুকোচুরির কার্যপ্রণালীতে দেখা যায়, জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীকে ফাঁকি দিতে কমান্ডো পর্যায়ের গোপন আস্তানার কৌশল ব্যবহার করেছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মধ্যরাতে কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারতীয় মিসাইল, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে মুখ খুললেন মমতা
সন্ত্রাসীবাদীদের আস্তানা থেকে তদন্তকারী সংস্থাগুলি প্রচুর প্রমাণ পেয়েছে। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে এক মাসের রেশন, চালের বস্তা, লেপ এবং কিছু জায়গায় গর্ত খুঁড়ে সোনা এবং অস্ত্র লুকানোর ব্যবহৃত হয়েছিল। এ সবই ইঙ্গিত দেয়, জঙ্গিরা দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গাগুলিতে থাকার পরিকল্পনা করেছিল। সূত্রের খবর, স্থানীয় ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কারদের (ওজিডব্লিউ) নির্দেশে এই আস্তানাগুলির সন্ধান মিলেছে, যাদের জিজ্ঞাসাবাদের পরে নিরাপত্তা বাহিনীকে এই জায়গাগুলিতে পৌঁছতে সহায়তা করেছিল। দক্ষিণ ও উত্তর কাশ্মীরের ঘন জঙ্গলে সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ তল্লাশি অভিযান চলছে এবং এই ধরনের আরও গোপন আস্তানা মেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মধ্যরাতে কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারতীয় মিসাইল, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে মুখ খুললেন মমতা
তদন্তকারী সংস্থাগুলির মতে এই আস্তানাগুলি কেবল হামলার পরিকল্পনার জন্যই ব্যবহৃত হচ্ছিল না, দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার লক্ষ্যেও ব্যবহৃত হচ্ছিল। আস্তানায় থাকা উপকরণ এবং কৌশল থেকে সেখানে স্থানীয়দের পাশাপাশি বিদেশী সামরিক প্রশিক্ষণের একত্রে ডিজাইন করা হয়েছিল। এই সমস্ত আস্তানা নিরাপত্তা বাহিনী ভেঙে দিয়েছে।