রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো উৎসর্গ করার সময়কার কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ৷ সেই ছবিতে সোনায় মোড়া দেওয়াল ভাল মতোই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷ ভক্তের দান করা ৬০ কেজি সোনার বাকি ২৩ কেজি রাখা আছে৷ তা দিয়ে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের মূল সোনার গম্বুজের নীচের অংশ আবৃত করা হবে৷
advertisement
কোভিড পরিস্থিতি কাটিয়ে গত বছর ১৩ ডিসেম্বর নতুন রূপে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের দরজা আবার খুলে যায় ৷ তার কিছু দিন আগেই ওই দাতা যোগাযোগ করেন মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে৷ তাঁর ইচ্ছেতেই গর্ভগৃহ ও গম্বুজ আবরণের কাজে ব্যবহৃত হয়েছে সোনা৷ দিল্লির এক সংস্থা পুরো কাজটি রূপায়িত করেছে৷ তামার পাতের সাহায্যে বসানো হয়েছে স্বর্ণাবরণ৷
আরও পড়ুন : মহাশিবরাত্রিতে পঞ্চামৃতের গুরুত্ব কোথায়? কীভাবে তৈরি করবেন পঞ্চামৃত?
অষ্টাদশ শতাব্দীর পর এই প্রথম আবার কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের এত বড় অংশ আবৃত করা হল সোনায়৷ ইতিহাস বলছে, ১৭৭৭ খ্রিস্টাব্দে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির নতুন করে সংস্কার করেছিলেন ইন্দোরের মহারানি অহল্যাবাঈ হোলকর৷ মহারাজ রঞ্জিত সিংজির দান করা ১ টন সোনায় আবৃত করা হয়েছিল কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের দু’টি গম্বুজ৷
আরও পড়ুন : মহাশিবরাত্রিতে উপবাসের বিধি কী কী? এই ব্রত পালনের রীতিই বা কী?
আরও পড়ুন : হাল্কা ও সুস্বাদু এই খাবারগুলি দিয়ে মহাশিবরাত্রির উপবাস ভঙ্গ করুন
উত্তরপ্রদেশে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ২০১৭ সালে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পুণ্যভূমি বিস্তৃত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়৷ ‘কাশী বিশ্বনাথধাম করিডোর’ প্রকল্পে ৯০০ কোটির বেশি টাকা মঞ্জুর করা হয়৷ এই প্রকল্পে কিনে নেওয়া হয় ৩০০-র বেশি বাড়ি৷ ২৭০০ বর্গফুট থেকে বেড়ে মন্দিরের পুণ্যভূমি পৌঁছয় ৫ লক্ষ বর্গফুটে৷ গঙ্গার মণিকর্ণিকা, ললিতা ঘাট থেকে এখন সরাসরি পৌঁছন যায় মন্দিরে৷