তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পেরেছে ৫০ বছর বয়সি একটি খামারবাড়িতে একা থাকতেন। তার স্ত্রী সুমঙ্গলা, যিনি টিপতুরের কল্পতরু গার্লস হস্টেলে রান্নার কাজ করত। অভিযোগ, করাদালুসান্তে গ্রামের বাসিন্দা নাগরাজুর সঙ্গে অবৈধ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সুমঙ্গলা। নিজের প্রেমের পথে স্বামীকে বাধা হিসেবে দেখেছিল সুমঙ্গলা। পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধের দিন, সুমঙ্গলা তার স্বামীর চোখে মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয়, লাঠি দিয়ে মারেন এবং তার পর তার পা তার ঘাড়ে চেপে ধরে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
advertisement
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার পর তারা মৃতদেহটি একটি বস্তায় ভরে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে নিয়ে যায়। এরপর তারা মৃতদেহটি তুরুভেকেরে তালুকের দন্ডানিশিভারা থানার আওতাধীন একটি খামারের একটি কুয়োয় ফেলে দেয়। ঘটনাটি প্রথমে নোনাভিনাকেরে থানায় একটি নিখোঁজ মামলা হিসেবে দায়ের করা হয়েছিল। তবে, তল্লাশি অভিযানের সময় পুলিশ নিহতের বিছানায় মরিচের গুঁড়োর চিহ্ন এবং ধস্তাধস্তির চিহ্ন খুঁজে পায়, যা সন্দেহ জাগিয়ে তোলে।
সুমঙ্গলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পাশাপাশি তার মোবাইল কল ডিটেইল রেকর্ড বিশ্লেষণ করে পুলিশ হত্যার পরিকল্পনার রহস্য উদঘাটন করে। অবশেষে সে অপরাধ স্বীকার করে। নোনাভিনাকেরে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আরও তদন্ত চলছে।