কর্ণাটক কংগ্রেসের প্রধান শিবকুমারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, নিজের দলের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি৷ ডি কে শিবকুমারের ভাই ডি কে সুরেশ জানিয়েছেন, কর্ণাটকের স্বার্থেই কংগ্রেস নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কিন্তু, এই সিদ্ধান্তে তাঁরা খুশি নন৷
advertisement
ডি কে সুরেশ বলেন, ‘‘আমার ভাই মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিল৷ কিন্তু, তাঁকে সেই পদ দেওয়া হল না৷ আমরাও বিষয়টা নিয়ে খুব একটা খুশি নই৷’’
ডি কে শিবিরে অসন্তোষ থাকলেও বৃহস্পতিবারই আনুষ্ঠানিক ভাবে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করে কংগ্রেস৷ জানিয়ে দেওয়া হয়, সিদ্দারামাইয়াই হচ্ছেন কর্ণাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী ৷ উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকছেন ডি কে শিবকুমার৷
পদ্মশিবিরকে ধরাশায়ী করে কর্ণাটকে ল্যান্ড স্লাইট ভিক্ট্রি পেয়েছে কংগ্রেসের৷ কিন্তু, তারপরেই শুরু হল সেই অমোঘ প্রশ্ন৷ কে হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী?মুখ্যমন্ত্রী পদে কাকে বাছবে কংগ্রেস? প্রবীণ নেতা সিদ্দারামাইয়া, নাকি তুখোড় সংগঠক ডি কে শিবকুমার?
বিধায়কদের সমর্থনের হিসাবে সিদ্দারামাইয়ার দিকেই দল ভারী ছিল৷ কিন্তু, শীর্ষপদের অন্যতম দাবিদার ডি কে শিবকুমারও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র ছিলেন না৷ হাজার হোক, এই জয়ের পিছনে তাঁর কতটা অবদান রয়েছে, সে কথা জানে হাইকম্যান্ডও৷
এই পরিস্থিতিতে চলতে থাকে ক্ষমতার টাগ অফ ওয়ার৷ দফায় দফায় বৈঠক৷ অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দিল্লির বৈঠক এড়িয়ে গিয়ে শিবকুমার কার্যত জানিয়ে দেন, এত সহজে তিনি দাবি ছাড়ছেন না৷
তারপরে গত বুধবার, একে একে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি এবং কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপালের সঙ্গে বৈঠক করেন সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমার৷
আরও পড়ুন: পাখির চোখ পঞ্চায়েত! আজ থেকেই জঙ্গলমহলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার
তবে তাতেও কাটেনি জটিলতা৷ অবশেষে, শেষের দিকে, শিবকুমারের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন সনিয়া৷ তার পরেই গলে বরফ। নম্বর টু পজিশন নিতে রাজি হন কর্ণাটক কংগ্রেসের প্রধান৷ যিনি, দলের জয়ের পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলতে এসে সনিয়ার নাম করে কেঁদে ফেলেছিলেন৷ জানিয়েছিলেন, জেলে থাকার সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সনিয়া৷ সেই সনিয়ার কথাকেই বোধহয় ফেলতে পারলেন না শিবকুমার৷
আগামী শনিবারই কর্ণাটকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান৷ সবকিছু ঠিক থাকলে সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করবেন সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমার৷