নয়াদিল্লি: কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী পদে পরিবর্তন নিয়ে তীব্র জল্পনা অব্যাহত। যার পালে হাওয়া দিলেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার। বুধবার তিনি বলেছেন, ‘আমি চিরকাল রাজ্য কংগ্রেস প্রধানের পদ ধরে রাখতে পারি না।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি এই পদে আছেন। এ বার অন্যদেরও সুযোগ দেওয়া উচিত। তবে তাঁর এই মন্তব্য নিজের পদকে নিয়ে নয়, তাঁর ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারের দিকে। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
advertisement
দলের অন্দরেই খবর, কর্নাটকে কংগ্রেস সরকারের অন্দরে ভাঙনের কালো ছায়া দেখতে পাওয়া যাচ্ছে! বৃহস্পতিবার দশজন কংগ্রেস বিধায়কের একটি দল দিল্লি গিয়েছে। এঁরা সকলেই রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারের শিবিরের লোক বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের দাবি, সিদ্দারামাইয়াকে সরিয়ে এবার কর্নাটকের মসনদে শিবকুমারকে বসানোর বিষয়ে তদ্বির করতেই তাঁদের তড়িঘড়ি রাজধানী সফর।
আরও পড়ুন: মিস ইউনিভার্সে নজর কেড়ে নিলেন বাংলাদেশের মিথিলা, বিতর্কিত পুরস্কার মঞ্চে চমকের পর চমক
এমনিতেই সিদ্দারামাইয়া-শিবকুমারের মধ্যেকার সংঘাত এখন অনেক স্পষ্ট। তার মধ্যেই বিধায়কদের দিল্লি সফর ঘিরে পরিস্থিতি আরও জটিল হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মে মাস থেকে কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি পদে রয়েছেন শিবকুমার। তিনি জানান, ২০২৩ সালের মে মাসে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই তিনি এই পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাহুল গান্ধি এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে তাঁকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে বলেছিলেন।
কিন্তু হঠাৎ কেন শিবকুমারকে বসানোর দাবি? আসলে দু’বছর আগে বিপুল জনাদেশ নিয়ে কর্নাটকে ক্ষমতায় ফেরে কংগ্রেস। তখন থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি নিয়ে আড়াআড়ি ভাগ হয় দুই শিবির। একদিকে প্রবীণ নেতা ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। অন্যদিকে উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। কিন্তু সকলেই একবাক্যে মেনে নেন, ক্ষমতায় ফিরে আসার পিছনে শিবকুমারের ভূমিকা ছিল অন্যতম। তারপরেও মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসানো হয় সিদ্দারামাইয়াকে। এদিনই আড়াই বছর পূর্ণ হয়েছে বর্তমান কর্নাটক সরকারের। সিদ্দারামাইয়া পদে বসার পর থেকেই কর্নাটকের রাজনৈতিক মহলে এই গুঞ্জন ছিল যে, ‘টার্ম’-এর অর্ধেক পূর্ণ হলেই তিনি সরে যাবেন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন শিবকুমার। সেই জল্পনাই এবার বিপুল আকার নিল।
