জানা গিয়েছে যে অমিত তাঁর প্রথম UGC-NET-JRF পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২০১০ সালে কমার্স নিয়ে। সেই পরীক্ষায় সাফল্যের পর ওই বছরেই তিনি ইকোনমিকস নিয়ে UGC-NET পরীক্ষা দেন এবং সসম্মানে উত্তীর্ণ হন। এর পরে চলতে থাকে তাঁর পরীক্ষায় বসা এবং সফল হওয়ার জয়যাত্রা। ২০১২ সালে ম্যানেজমেন্ট, ২০১৫ সালে এডুকেশন, ২০১৯ সালে পলিটিক্যাল সায়েন্স এবং ২০২০ সালে সোশিওলজি- এই হল অমিতের ছয় UGC-NET পরীক্ষা পাসের বিষয় এবং সাফল্যের পরিসংখ্যান। তবে তাঁর প্রতিভা শুধু এই পরীক্ষা পাস করাতেই সীমিত নয়, ২০১৫ সালে আইআইটি-কানপুর থেকে তিনি ইকোনমিকসে তাঁর পিএইচডি ডিগ্রির কাজও শেষ করেছেন।
advertisement
প্রশ্ন হল- এই ভাবে পর পর পরীক্ষা দিয়ে যাওয়া কি নেহাতই অমিতের শখ? সংবাদমাধ্যমের এই কৌতূহল মিটিয়ে অমিত জানিয়েছেন যে চাইলেই ভালো শিক্ষক পাওয়া যায় না। কিন্তু ভারতে মেধাবী ছাত্রের অভাব নেই। তাদের প্রয়োজন যথাযথ প্রশিক্ষণ। তাই নিজেকে যত ভাবে পারা যায়, ছাত্রদের জিজ্ঞাসার যোগ্য করে তুলছেন তিনি। যাতে তারা বিদেশে পড়াশোনার কথা না ভাবে! এই প্রসঙ্গে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েও কথা বলেছেন অমিত। জানিয়েছেন যে আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা যথেষ্ট মজবুত; IIT, IIM এবং AIIM ইতিমধ্যেই তা প্রমাণ করে দেখিয়েছে। অভাব শুধু সুশিক্ষকের, যেটা তিনি নিজের মতো করে পূর্ণ করার চেষ্টা করে চলেছেন।
৩৭ বছরের এই শিক্ষকের নাম এই বিরল কৃতিত্বের জন্য উঠে এসেছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ। তবে এই সম্মাননা অমিতের কাছে একটা বাড়তি পাওনা ছাড়া আর কিছু নয়। সাফ জানিয়েছেন তিনি যে তাঁর এই অধ্যয়ন রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে নয়, বরং সমাজ গড়ার লক্ষ্যে। তাই ভবিষ্যতে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্টের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বাসনা প্রকাশ করেছেন তিনি। আর জানিয়েছেন যে এই UGC-NET পরীক্ষা পাস করার পালা এখানেই শেষ হচ্ছে না, এর পর একে একে সাইকোলজি, ফিলজফি আর সাহিত্য নিয়েও পড়াশোনা করবেন তিনি।