শহরে রিকশা চলবে QR কোড ব্যবহার করে –
রেজিস্ট্রেশনের পর ই-রিকশা চালকরা QR কোড সহ একটি স্টিকার পাবেন। এই স্টিকার হবে চার রঙের এবং এর ভিত্তিতে ই-রিকশার রুট নির্ধারণ করা হবে। কোনও ই-রিকশা নির্ধারিত রুটের বাইরে গেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন একটি পোর্টাল তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে ই-রিকশা মালিকরা অনলাইনে রেজিস্টার করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশনের সময় ই-রিকশা মালিককে ড্রাইভিং লাইসেন্স, আধার কার্ড, বিমা, মালিকানা শংসাপত্র এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি আনতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- হেব্বি মিষ্টি, তবে লাল নয়! গোলাপি বেদানা চাষে তাক লাগাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের এই জেলা
এই শহরে পাঁচ হাজারের বেশি ই-রিকশা চলছে। যার মধ্যে অনেকগুলো রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই পথে বের হয়। এই কারণে নগরীতে যানজটও বাড়ছে। মিউনিসিপ্যাল কমিশনার সুধীর কুমার বলেন, এই রেজিস্ট্রেশনের ফলে শহরে ই-রিকশার ব্যবস্থার উন্নতি হবে এবং অননুমোদিত যানবাহন সরানো যাবে।
শহরটিকে ৪০টি বিভিন্ন রুটে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি রুটের জন্য আলাদা রঙের একটি QR কোড দেওয়া হবে। পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগ এই কোড স্ক্যান করতে পারবে। এতে ই-রিকশা সঠিক রুটে চলছে কি না তা জানা যাবে।
এখানে রেজিস্টার করা যেতে পারে –
রেজিস্ট্রি করার জন্য ১০টি স্থানে কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে – পৌর কর্পোরেশন অফিস, ট্রাফিক পুলিশ লাইন, ক্যান্টনমেন্ট থানা, গুঞ্জন টকিজ পার্কিং কমপ্লেক্স, মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন হেডকোয়ার্টার, জিআইসি গ্রাউন্ড চুন্নিগঞ্জ, জোন ফাইভ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অফিস, বাবুপুরওয়া, বড়রা এবং আমরুদ থানা।
আরও পড়ুন- ধান তুলতে গিয়ে ব্রজাঘাতে মৃত ১, মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়
এদিকে পুলিশ ই-রিকশা চালকদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। সম্প্রতি ৬টি ই-রিকশা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং ১৫৭ জন চালকের বিরুদ্ধে চালান কাটা হয়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস সার্টিফিকেট বা সঠিক নম্বর প্লেট না থাকা ই-রিকশা বন্ধ করা হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। অনুমতি ছাড়া ও নিয়ম না মেনে চলা ই-রিকশাগুলো সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। আশা করা হচ্ছে এই নতুন ব্যবস্থার ফলে কানপুরের রাস্তায় যানজটের সমস্যা কমবে এবং মানুষ যাতায়াতের সুবিধা পাবে।