দীপাবলি উপলক্ষে রাজ্যের অন্যতম মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু গোমতী জেলার, উদয়পুর মাতারবাড়ির ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির। ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির হিসেবেও পরিচিত। ৫১ পীঠের একপিঠ ত্রিপুরা সুন্দরী দেবী। ৫২৪ বছরের পুরনো এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর দীপাবলি উৎসব ও মেলার আয়োজন হয়। ত্রিপুরার ১৪৫তম মহারাজা ধন্য মানিক্য ১৫০১ খ্রিস্টাব্দে ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির স্থাপন করেন। মন্দিরে দেবী প্রতিমা কষ্টি পাথরে নির্মিত। দেবীর মূর্তি উচ্চতায় এক মিটার ৫৭ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ৬১ সেন্টিমিটার।
advertisement
১৯৪৯ সালে ত্রিপুরা রাজ্য ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়, সেই সময় ত্রিপুরার রানী কাঞ্চন প্রভাদেবীর অন্যতম শর্ত ছিল কয়েকটি মন্দিরের পরিচালনার ভার সরকারকে নিতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার শর্তে রাজি হয়। এরপরই রাজ্য সরকার ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরের পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। পদাধিকারবলে মন্দিরের সেবায়েত গোমতী জেলার জেলাশাসক। ২০১৮ সালের নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর মাতাবাড়ি মন্দির পরিচালনার জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন করে রাজ্য সরকার। সরকার পরিচালিত মন্দিরের সমস্ত কাজ হলেও আজকের দিনেও রাজপরিবারের বর্তমান প্রতিনিধি প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মনের নামে পুজোর অর্ঘ্য আহুতি হয়।
কার্তিক অমাবস্যায় দেবী শক্তির আরাধনা। এদিনের কালীপুজো দীপান্বিতা কালীপুজো নামেও পরিচিত। আলোর উৎসবে মাতোয়ারা গোটা বাংলা। দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠ, লেক কালীবাড়ি-সহ বিভিন্ন কালীতীর্থে চলছে কালীপুজো। নিষ্ঠাভরে পুজোপাঠ চলছে মন্দিরে মন্দিরে। মহাসমারোহে পুজো শুরু হয়েছে ত্রিপুরার ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে। ত্রিপুরার গোমতি জেলায় প্রতি বছর সরকারি উদ্যোগে পুজো হয় ত্রিপুরেশ্বরীর। খোদ জেলাশাসক ত্রিপুরেশ্বীর প্রধান সেবাইত। কথিত আছে সতীর বাম পা পড়েছিল এখানে। ত্রিপুরেশ্বীর পুজো উপলক্ষে এখানে শুরু হয়েছে দুদিনের মেলা। হচ্ছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতিবছরের মত এবারও লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়েছে ত্রিপুরেশ্বরীর পুজো উপলক্ষ্যে।