সাংবাদিক এবং পুরুষ অধিকার রক্ষা কর্মী দীপিকা নারায়ণ ভরদ্বাজের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন অনেকেই। যেন দীর্ঘদিনের চেপে রাখা জ্বালাযন্ত্রণার উৎস মুখ খুলে গিয়েছে। কেউ বলেছেন, “বাঁচান, আমি অতুল হতে চাই না।” আবার কেউ ‘মিথ্যা’ মামলা থেকে বাঁচার উপায় জানতে চেয়েছেন।
advertisement
এক ব্যক্তি দীপিকাকে জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী দুটো আলাদা আলাদা মামলা করেছেন। একটা বিবাহবিচ্ছেদের আরেকটা যৌতুকের। তিনি লিখেছেন, “আদালতে আগাম জামিন চেয়েছিলাম। কিন্তু পাইনি। স্ত্রী পৈতৃক বাড়ি দাবি করেছে। এটা আমার নামে নেই। বাবা-মা এখনও বেঁচে। বাড়িটাই তাঁদের একমাত্র সম্বল। এখন আমি কী করব?”
তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীর পরিবার অত্যন্ত প্রভাবশালী। এখন আত্মহত্যা করা ছাড়া তাঁর সামনে আর কোনও পথ নেই। তিনি লিখেছেন, “অতুল সুভাষের মতো আমিও আত্মহত্যা করার কথা ভাবছি। জানি না এর শেষ কোথায়।”
৩৪ বছর বয়সী আরেক যুবক জানিয়েছেন, অতুলের ঘটনা তাঁকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বেঙ্গালুরুর আইটি কর্মীর সঙ্গে নিজের মিল পাচ্ছেন। দীপিকাকে তিনি লিখেছেন, “আমার ৩৪ বছর বয়স। ২০১৯ সালে বিয়ে করি। এই পাঁচ বছরে মাত্র ৬৭ দিন আমরা একসঙ্গে ঘর করেছি। তাও টানা নয়। আমি বি.টেক করেছি। স্ত্রী পিএইচডি। এখন রাজস্থানে কাজ করি। আমার থেকে টাকা আদায় করার চেষ্টা করছে। আমাকে বাঁচান।”
তিনি নিজের কষ্টের কথা জানিয়ে লিখেছেন, “গত বছর সেকশন ৯-এ মামলা দায়ের করেছিলাম। তারপরই আমার বিরুদ্ধে ৪৯৮ ধারায় মামলা দায়ের করে স্ত্রী। এ বছর ডিভোর্সের আবেদন করেছিলাম। স্ত্রী প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা দাবি করেছে।”
আরও পড়ুন Christmas Bow Barrack Cake: ক্রিসমাসে বো ব্যারাকে বিরাট চমক, সবথেকে পুরনো বেকারি-তে কী থাকছে?
আরেক ব্যক্তি অনেক যন্ত্রণা নিয়ে দীপিকাকে লিখেছেন, “দেশের অনেক অতুল সুভাষের মধ্যে আমি একজন। না, আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এ কথা বলছি না। আসলে আমি আর কারও থেকেই কিছু আশা করি না। শুধু আপনাকে বলতে চাই, আমি সেই সমস্ত অতুল সুভাষদের একজন, যাঁরা আইনি আতঙ্কে আত্মহত্যার কথা ভাবছে।”
আরেকজন সরাসরি আইন ব্যবস্থার দিকে আঙুল তুলেছেন। দীপিকাকে তিনি লিখেছেন, “আমি জানি পুরুষ হিসেবে এই দেশে ন্যায় বিচার পাব না। অতুল সুভাষ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন।” আরেকজন লিখেছেন, “আমি চিন্তিত। স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে ৯টা মামলা দায়ের করেছে।”