পারণা কমিউনিটির মহিলা রানি জানান, ‘বিবাহের দু’বছর পর তিনি তার স্বামীর পতিতা হন ৷ এটা নতুন কিছু নয় ৷ আমি জানতাম এরকমই হবে একদিন ৷ আমি সংসার চালানোর জন্য দেহ ব্যবসা করি ৷’ সেখানকার আরেক মহিলা হোরাবাই জানান, সংসারের আয় বাড়ানোর জন্য অন্যের ভোগ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন তিনি৷ তবে পারণার কোনও মহিলাই চায় না যে এই অসম্মান ও অন্ধাকারের জীবন নেমে আসুক তাদের মেয়েদের জীবনেও ৷ তবে তাদের অকপট স্বীকারোত্তি একবার বিয়ে হলে গেলে মেয়েদের জীবনের উপর সমস্ত অধিকার তাদের স্বামীদের ও শ্বশুরবাড়ি লোকেদের ৷ এভাবেই কেটে গিয়েছে রানি ও হোরাবাইদের জীবন। আর হইতো এইভাবেই চলতে থাকবে ৷ কত নাম না জানা রানিরা এই ভাবেই দিনের পর দিন শিকার হবে নির্যাতনের ৷ তবু চোখে একটাই আশা ৷ তাদের মেয়েরা যাতে আর রানি বা হোরাবাইতে পরিণত না হয় ৷ সমাজের আনাচে কানাচে এই ভাবেই চলতে থাকবে শোষণ তবুও একটা ক্ষীন আসা রানিদের মনে আজও রয়েছে এই অন্ধকার থেকে মুক্তি পাওয়ার ৷
advertisement