অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমে পুষ্কর সিং ধামী জানান, যোশীমঠের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। যোশীমঠের মানুষ এই মূহুর্তে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। অন্য দিকে আর চারমাস পরেই চারধাম যাত্রা শুরু হবে বলে ঘোষণা করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "নতুন জায়গার সন্ধান-সহ রাজ্য সরকারের অন্যান্য নানান উদ্যোগ সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে জানিয়েছি। " কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তাঁকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুষ্কর সিং ধামী।
advertisement
আরও পড়ুন: যোশীমঠের পর এবার কর্ণপ্রয়াগে বাড়িতে ফাটল, ছবি দেখলে ভয় লাগবে!
যোশীমঠ সম্পর্কে কোনও রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে ধামী জানান, সম্পূর্ণ রিপোর্ট আসার পর সে সম্পর্কে জানানো হবে। তবে আপাত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ধামি বলেন, "দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ উত্তরাখণ্ড সম্পর্কে আলোচনা করছেন। এটা ঠিক নয়। কারণ সেখানকার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ স্বাভাবিকভাবে নিজেদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। "
আরও পড়ুন: ৫৬-৪৩-এর পর ৫০ লক্ষ! শহরে ফের উদ্ধার টাকা, পুলিশের জালে ২
এদিকে দ্রুতগতিতে বসে যাচ্ছে যোশীমঠের মাটি। ইসরোর রিপোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিগত ১২ দিনে যোশীমঠে ৫.৪ সেন্টিমিটার মাটি বসে গিয়েছে। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের তরফে প্রকাশিক উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই দেখা গিয়েছে দ্রুতগতিতে বসে যাচ্ছে যোশীমঠের ভূমিতল। জানা গিয়েছে, গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে গত ৮ জানুয়ারির মধ্যে যোশীমঠের মাটি ৫.৪ সেন্টিমিটার বসে গিয়েছে। ইসরোর তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, একাধিক কারণে মঠের মাটি বসে যাচ্ছে।
২০২২ সালের ২ জানুয়ারিতে ভূমিধসের বিষয়টি বাড়তে থাকে। দেখা গিয়েছে, দ্রুতগতিতে মধ্য জোশীমঠের মাটি সরে যাচ্ছে। সেনা হেলিপ্যাড ও মন্দিরের আশেপাশে ব্যাপক পরিমাণে মাটির ধস নামছে। যোশীমঠ-আউলি রোডের কাছে ২১৮০ মিটার উচ্চতা থেকে মাটিতে ফাটল ধরা শুরু হয়েছে। ISRO-র প্রকাশিত উপগ্রহ চিত্র ইসরোর রিপোর্ট বলছে, গত কয়েক মাসে যোশীমঠের ভাঙনের হার তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম ছিল। গত বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাস অবধি মাটিতে ৯ সেন্টিমিটার ধস নেমেছিল। সেই তুলনায় গত এক মাসেই ৫.৪ সেন্টিমিটার ধস নেমেছে।