ভোটের ঠিক আগে আগেই AJSU -র জোট ভেঙে যায় বিজেপির ৷ পার্টির মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের বিরুদ্ধে মতামত তৈরি হয়ে গিয়েছিল ৷ কিন্তু বিজেপি এই বিষয়টি তখন মাথা ঘামায়নি ৷
আরও পড়ুন - Jharkhand Election Result 2019: মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হেমন্ত সোরেনে ভরসা রাখাই তুরুপের তাস কংগ্রেসের
advertisement
রঘুবর দাসের বিরুদ্ধে এই যে পার্টির মধ্যেই কোন্দল তৈরি হয়েছিল তা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিজেপির সিনিয়র নেতা সরযূ রায় ৷ তিনি নিজে জানান তার মন্ত্রিসভায় ২০০৫ থেকে মন্ত্রী ছিলেন ৷ অথচ তার বিরুদ্ধেই এবার লড়েছেন সরযূ রায় ৷ পার্টি তাঁকে যেভাবে অপমানিত করেছে তারপর নিজের সম্মানের জন্য তাঁরে অন্য পার্টির টিকিটে লড়াই করতে হয়েছিল ৷
সরযূ রায় জানিয়েছেন নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য টিকিট দেওয়া হয়নি ৷ কিন্তু এই অপমানের কারণে দারুণ মনোক্ষুণ্ণ হলেও পার্টির কাছে মনোনয়নের জন্য পুনরায় আবেদন করেননি ৷ এর জন্য বিধায়ক পদ ও মন্ত্রী পদ দুটো থেকেই ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি ৷ ১৯৬২ সাল থেকে আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত সরযূ রায় ৷ আর ১৯৭৭ থেকে সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি ৷ এরপর বিধায়ক হন, হন মন্ত্রী ৷ এহেন তাবড় সিনিয়র রাজনীতিককে অবজ্ঞা করাটাও ঝাড়খন্ড নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াল ৷ ২০১৪ সালে ৭০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন রঘুবর দাস ৷ তখন বিজেপি ৬১.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন ৷ কংগ্রেস ভোট পেয়েছিল ১৯.৮ শতাংশ ৷ ১৯৯৫ থেকে জামশেদপুর সিটটি জিতছেন রঘুবর দাস ৷ ২০০৯ সালে ঝাড়খন্ডের উপমুখ্যমন্ত্রী হন তিনি আর মুখ্যমন্ত্রী হন ২০১৪ সালে ৷
আরও দেখুন
