ইলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী জয়া ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ট্র্যাফিক সার্ভিসে যোগ দেন ১৯৮৮ সালে। উত্তর রেলওয়ে, দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে এবং পূর্ব রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সিইও পদে যোগ দেওয়ার আগে তিনি রেলওয়ে বোর্ডের ট্র্যাফিক ট্রান্সপোর্টের অতিরিক্ত সদস্য ছিলেন।
ভারতীয় রেলে গত ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে কর্মরত অবস্থায় জয়া কাজ করেছেন অপারেশনস, কমার্শিয়াল, আইটি এবং ভিজিল্যান্স-সহ একাধিক বিভাগে। এর আগে প্রথম মহিলা হিসেবে তিনি দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে-এর চিফ অপারেশনস ম্যানেজার পদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।
advertisement
নর্দার্ন রেলওয়ে-এর প্রিন্সিপাল চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার এবং শিয়ালদহ ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন। দেশের বাইরে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনে রেলওয়ে অ্যাডভাইসর হিসেবে দেখা গিয়েছে জয়াকে। তাঁর কার্যক্রমের মেয়াদেই কলকাতা থেকে ঢাকার পথে যাত্রা শুরু হয় মৈত্রী এক্সপ্রেসের। পূর্ব রেলওয়ের শিয়ালদহ ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার পদের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
সম্প্রতি প্রায় ৩০০ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে বালাসোর ট্রেন দুর্ঘটনায়। এই দুর্ঘটনার পর জটিল সিগন্যালিং ব্যবস্থার দিকে নজর টানেন জয়াই।বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার পরেও জয়াকে ঘিরে সংবাদমাধ্যমে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা হয়েছিল।
আপাতত এক বছরের জন্য এই পদে বসছেন জয়া। আগামী বছর ৩১ অগাস্ট এই পদ থেকে অবসরগ্রহণ করতে পারেন তিনি। সামনের বছর ১ অক্টোবর ভারতীয় রেলে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। তবে রেল সূত্রে খবর, যোগ্য ও কর্মদক্ষ এই অফিসারকে পুনর্নিয়োগ করা হতে পারে। তাঁর নতুন দায়িত্বে নারীশক্তির উড়ানে নতুন ডানা যোগ হল বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল।