জম্মু ও কাশ্মীর: এ কে রাইফেলের গুলি, কার্তুজ, পিস্তলের গুলি আর গ্রেনেডের তিনটে লিভার৷ কাশ্মীরের একটি সংবাদপত্রের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র৷ জম্মুর রেসিডেন্সি রোডে ছিল ‘কাশ্মীর টাইমস’ নামের ওই সংবাদপত্রের অফিস৷ সেখানে বৃহস্পতিবার তল্লাশি চালায় জম্মু ও কাশ্মীরের স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এসআইএ)৷ এই সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী প্রতিবেদন ছাপার অভিযোগ দীর্ঘদিন ছিল৷ এবার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা বিরোধী খবর করা, দেশবিরোধী কাজ করার অভিযোগে চলল তল্লাশি৷
advertisement
এই সংবাদপত্র এবং তার মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পরে ওই সংবাদপত্রের অফিসে খানাতল্লাশি চালায় এসআইএ৷ খতিয়ে দেখা হয় কম্পিউটারগুলিও৷ ২০২০ সালের অক্টোবরে এই সংবাদপত্রের শ্রীনগরের অফিস বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন৷
আরও পড়ুন: ফের আগুন জ্বলছে নেপালে! জারি কার্ফু…Gen Z-র সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ ওলি-র সমর্থকদের
প্রসঙ্গত, সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক প্রতিবেদন ছাপার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছেন এসআইএ৷ ভারত ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে হুমকির মুখে ফেলার অভিযোগে কাশ্মীর টাইমসের বিরুদ্ধে এই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। কাশ্মীর টাইমসের এগজিকিউটিভ এডিটর অনুরাধা ভাসিনের নামও এফআইআরে উল্লেখ করা রয়েছে।
যদিও এই তল্লাশির পরে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন ওই সংবাদপত্র কর্তৃপক্ষ৷ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি বলেই আমাদের টার্গেট করা হচ্ছে৷ এভাবে আমাদের মুখ বন্ধ করা যাবে না৷’’
কাশ্মীর টাইমস জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে বিশিষ্ট সংবাদপত্রগুলির মধ্যে একটি। এটি বেদ ভাসিন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং ১৯৫৪ সালে একটি সাপ্তাহিক সংবাদপত্র হিসাবে প্রকাশিত হয়েছিল, ১৯৬৪ সালে এটি দৈনিকে রূপান্তরিত হয়।
