এবার প্রাথমিক তদন্তের পর কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (CBSE) জয়পুরের ওই বেসরকারি স্কুলকে নোটিস পাঠাল। তদন্তে উঠে এসেছে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর। জানা গিয়েছে, ছাত্রীকে নিয়মিত উত্যক্ত করর তার সহপাঠীরা, বারবার শিক্ষিকার কাছে সাহায্যের আবেদন ও অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ছাত্রীর কথায় কান-ই দেননি। উপেক্ষা করেছেন প্রতিবার।
CBSE-র তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে সহপাঠীরা উত্যক্ত করত। অশালীন ও যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথাবার্তা বাদ যেত না।
advertisement
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার দিন মেয়েটি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল এবং সাহায্যের জন্য দু’বার তার ক্লাস টিচারের কাছে গিয়েছিল। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। ছাত্রীর কথা শুনতেই চাননি শিক্ষিকা। তদন্তে এও জানা গিয়েছে, ছাত্রীকে একবারও স্কুল কাউন্সিলরের কাছে পাঠানো হয়নি, যা বোর্ডের মতে নিরাপত্তা ও মানসিক সুস্থতার নির্দেশিকা লঙ্ঘনের ‘গুরুতর অপরাধ’।
CBSE-র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্কুলটি মৌলিক শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে। অভিযোগগুলি লিখিতভাবে নথিভুক্ত করা, প্রশিক্ষিত কাউন্সিলরের হস্তক্ষেপ নিশ্চিত করা এবং শীর্ষ কর্তৃপক্ষকে জানানোর মতো পদক্ষেপ আদৌ নেওয়া হয়নি।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই গাফিলতিগুলি প্রমাণ করছে স্কুলের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা ব্যবস্থায় চিড় ধরেছে। পাশাপাশি, র্যাগিং প্রতিরোধ ও শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষার বিষয়ে বোর্ডের যে বাধ্যতামূলক নীতি রয়েছে, তা মানা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই মনে করা হচ্ছে এবং ঘটনার ধারাবাহিকতা জানতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওই ছাত্রী তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন। তাকে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই রাজস্থান স্কুল শিক্ষা দফতর একটি ছয় সদস্যের দলকে ক্যাম্পাসে তদন্তের জন্য পাঠায়। কিন্তু কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, তাঁদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। স্কুলের প্রধান ফটক ভিতর থেকে বন্ধ ছিল এবং ৯০ মিনিটেরও বেশি সময় অপেক্ষা করলেও প্রধান শিক্ষক বা স্কুল কর্তৃপক্ষের কেউ তাদের সঙ্গে দেখা করেননি।
