তবে বিতর্ক কি আর থেমে থাকে ? বুধবার অমিত শাহ-জগদীপ ধনকড় বৈঠক নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা সৌগত রায়। তাঁর কথায়, "রাজ্যপাল একজন হতাশ এবং ব্যর্থ রাজনীতিবিদ। ওঁর মেয়াদ এখন শেষ হয়ে যাবে। তাই এখন দিল্লিতে এসে দরবার করছেন যাতে আরো কিছুদিন থাকা যায়। উনি রাজ্য বিজেপির সভাপতির মতো বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন। এটি লজ্জার।"
advertisement
রাজ্যপালকে একহাত নিয়ে প্রবীণ তৃণমূল নেতা আরও বলেছেন, "এর আগে কেশরীনাথ ত্রিপাঠী রাজ্যপাল ছিলেন। বর্তমান রাজ্যপালের চেয়ে উনি অনেক বেশি বিজেপি ছিলেন। এই রাজ্যপাল তো আগে চন্দ্রশেখরের দলে ছিলেন। পরে জাম্প করে বিজেপিতে গিয়েছেন। ইনি কোন মর্যাদা রেখে চলেন না ওর মর্যাদা নেই। আমরা বারবার ওকে বলেছি, মর্যাদা রেখে চলতে। কিন্তু, উনি শোনেন না।"
আরও পড়ুন: জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন বসু বাদ! বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি চমকে ভরা
অন্যদিকে, পুরো নির্বাচনে বিজেপি পরাস্ত হওয়ার পর রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন রাজ্যে নির্বাচনের পরিবেশ নেই। গণতন্ত্র নেই। বিরোধীদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রবীণ তৃণমূল নেতা বলেন, "দিলীপ ঘোষ আমাদের থেকে বয়সে ছোট। জীবনে প্রথম নির্বাচন লড়েছেন ২০১৬ সালে। আমি ১৯৭৭ সাল থেকে লোকসভার সদস্য। উনি যদি কিছু বলেন তার কোন গুরুত্ব নেই। তার কারণ, উনি বিজেপির অপসারিত সভাপতি। দু-একটা যদি ঘটনা ঘটে থাকে সেটা দুঃখজনক। কিন্তু ১৪৪টা ওয়ার্ডে ঘটনা ঘটেনি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ছিল। তিনি তৃণমূলের লোক নন।" বিজেপির হিংসার অভিযোগ প্রসঙ্গে সৌগত রায়ের পাল্টা বক্তব্য, "হিংসার অভিযোগ তারাই করছেন, যারা হেরে গিয়েছে। তাদের অজুহাত। দিলীপ ঘোষ পাঁচ দিন ধরে প্রচার করেছেন। তার প্রভাব কিছু পড়েনি। মাত্র ৩টি আসন পেয়েছেন। তার ব্যাখ্যা ওঁকে দিতে হবে। তাই এসব বলছেন।"