ভুল! ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত হওয়া 'এক্সপেরিমেন্ট উইথ ট্রুথ'-এর মালায়লি ভাষায় অনুবাদের বিক্রি সবথেকে বেশি। গান্ধিজির স্থাপিত আমেদাবাদের 'নবজীবন ট্রাস্ট'-এর তরফে জানানো হল, এই ২০ বছরে ৭৭৮০০০ কপি মালায়লি ভাষার অনুবাদ বিক্রি হয়েছে। এখনও এক লাখ বইয়ের প্রিন্ট অর্ডার রয়েছে। এরপরেই রয়েছে তামিল ভাষায় অনুবাদের চাহিদা। বিক্রি হয়েছে ৭০৯৫০০ কপি।
ট্রাস্ট-এর ম্যানেজিং ট্রাস্টি বিবেক দেশাইয়ের মতে, '' গান্ধিজি বহু লেখা লিখেছেন। কিন্তু 'মাই এক্সপেরিমেন্ট উইথ ট্রুথ' না পড়লে তাঁর জীবনাদর্শ উপলব্ধি করা যায় না। আগামী মাস থেকে আমরা গান্ধিজির শতবর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানও শুরু করব।''
advertisement
১৯৯৭ সালে বইটি লিখেছিলেন গান্ধিজি। সে বছরই তাঁর সেক্রেটরি মহাদেব দেশাই বইটি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন। গান্ধিজি তাঁর সাহিত্যকর্মের সমস্ত কপিরাইট দিয়ে গিয়েছিলেন নবজীবন ট্রাস্ট- কে। ১৯৪৮ সাল থেকে তাদের অধিকারেই ছিল মহাত্মার সমস্ত লেখার কপিরাইট। কিন্তু কপিরাইট অ্যাক্ট অনুসারে, ২০০৯ সালে কপিরাইটের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।
কিন্তু মালায়লি অনুবাদেরই বিক্রি কেন বেশি? উত্তরে বিবেক দেশাই জানান, '' হয়তো কেরালায় স্বাক্ষরতার হার অনেক বেশি বা ওখানকার মানুষদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যেস বেশি।''
নবজীবন ট্রাস্ট-এর আরেক ট্রাস্টি কপিল রাওয়াল জানালেন, '' বইটি ১৫টি ভারতীয় ভাষা--গুজরাতি, হিন্দি, মারাঠি, তেলুগু, তামিল, মালায়লি, কন্নড়, উর্দু, বাংলা, অসমিয়া, ওড়িয়া, মণিপুরি, সংস্কৃত, কোঙ্কনি ও পাঞ্জাবি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। শীঘ্রই কাশ্মীরি ভাষাতেও অনূদিত হবে। এছাড়া, ২৯টি বিদেশী ভাষাতেও বইটি অনুবাদ করা হয়েছে।''
তিনি আরও জানান, '' কেরালার পূর্ণদয়া বুক ট্রাস্ট গান্ধিজির লেখা, সংস্কৃতি, মতাদর্শ, চিন্তাধারা সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে একটি বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। এই কারণেই বোধহয়, মালায়লি ভাষায় বইটির বিক্রির হার এতটা বেশি।''