এটা ছিল ইসরোর ১০০ তম মিশন। আর ইসরোর নতুন চেয়ারম্যান ভি নারায়ণনের প্রথম মিশন। নতুন বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের প্রথম মিশনও এটাই। ২৭ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের কাউন্টডাউন শেষে শ্রীহরিকোটার দ্বিতীয় লঞ্চিং প্যাড থেকে ৫০.৯ মিটার লম্বা GSLV-F15 রকেট তীর বেগে আকাশে উড়ে যায়।
রকেটের পে-লোড ফেরিং ধাতুর তৈরি, যার ব্যাস ৩.৪ মিটার। ইসরো-র তরফে জানানো হয়েছে, GSLV-F15 তার দেশীয় ক্রায়োস্টেজ সহ NVS-02 স্যাটেলাইটকে জিওসিঙ্ক্রোনাস ট্রান্সফার অরবিটে স্থাপন করবে। এর আগে ২০২৩ সালের ২৯ মে GSLV-F12 রকেট উৎক্ষেপণ করেছিল ইসরো। পাঠানো হয়েছিল সেকেন্ড জেনারেশনের NVS-01 স্যাটেলাইট।
advertisement
এই স্যাটেলাইট ভূমি, বায়ু এবং সমুদ্রের নেভিগেশন, কৃষি, ফ্লিট ম্যানেজমেন্ট, মোবাইলে অবস্থান ভিত্তিক পরিষেবা, স্যাটেলাইটের অরবিট নির্ধারণ, IoT (ইন্টারনেট অফ থিংস)-এর অ্যাপ্লিকেশন, জরুরি পরিষেবা ইত্যাদি নির্ধারণ করবে।
ইসরোর GSLV-F15 রকেটের সফল উৎক্ষেপণের পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং লেখেন, “১০০ তম উৎক্ষেপণ, ইসরো-কে অভিনন্দন। যাঁরা শ্রীহরিকোটা থেকে সফলভাবে ১০০ তম উৎক্ষেপণ করলেন, তাঁদের সবাইকে শুভেচ্ছা। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে আমি গর্বিত। GSLV-F15 / NVS-02 মিশনে সফল উৎক্ষেপণ করে টিম ইসরো আবারও গোটা ভারতকে গর্বিত করল।“
নেভিগেশন উইথ ইন্ডিয়ান কনস্টেলেশন (NavIC) হল ভারতের নিজস্ব আঞ্চলিক নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম, যা ভারতের পাশাপাশি ভারতীয় উপমহাদেশের ১৫০০ কিলোমিটার অঞ্চল পর্যন্ত সঠিক পজিশন, ভেলোসিটি এবং টাইমিং (PVT) পরিষেবা দেয়। এমনটাই জানিয়েছে ইসরো।
NavIC দুই ধরনের পরিষেবা প্রদান করে। প্রথমত স্ট্যান্ডার্ড পজিশনিং সেবা (SPS)। দ্বিতীয়ত, রেস্ট্রিকটেড সেবা (RS)। NavIC SPS প্রধান পরিষেবা এলাকার মধ্যে ২০ মিটারের কম পজিশন অ্যাকিউরেসি এবং ৪০ ন্যানোসেকেন্ডের কম টাইমিং অ্যাকিউরেসি প্রদান করে।
NVS-02, NVS সিরিজের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট। এতে L1, L5 এবং S ব্যান্ডে নেভিগেশন পে-লোড এবং C-ব্যান্ড-এ রেঞ্জিং পে-লোড রয়েছে, NVS-01 এর মতোই। এটি U R স্যাটেলাইট সেন্টার (URSC)-এ ডিজাইন, ডেভেলপ এবং ইন্টিগ্রেট করা হয়েছে।
স্পেস অ্যাপ্লিকেশনস সেন্টার, ISRO-এর পরিচালক নীলেশ দেশাই আগেই বলেছিলেন, এই উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ভারতের আঞ্চলিক নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেমে (NavIC) স্যাটেলাইটের সংখ্যা ৪ থেকে বেড়ে ৫ হবে।
তিনি বলেন, ” এটি ৩৬,০০০ কিলোমিটার উচ্চতায় জিওস্টেশনারি অরবিটে স্থাপন করা হবে। আমাদের নেভিগেশন কনস্টেলেশনটির স্যাটেলাইটের সংখ্যা ৪ থেকে বেড়ে হবে ৫। ফলে নেভিগেশন স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত পজিশনিং আরও নিখুঁত হবে।“