বিচারপতিরা এদিন ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, "এই আইনটির প্রচুর অপব্যবহার হচ্ছে। ছুতোর মিস্ত্রিকে করাত দেওয়া হয়েছিল কাঠের টুকরো কাটার জন্য। তিনি সেই করাত দিয়ে জঙ্গলের সমস্ত গাছ কেটে ফেলেছিলেন। অর্থাৎ, কোন একজন বা বিশেষ ক্ষেত্রে যে আইনের প্রয়োগ হওয়ার কথা তা যথেচ্ছ ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা কখনোই কাম্য নয়। দেশদ্রোহ আইনের অপব্যবহার হচ্ছে। যদি কোনো পুলিশ আধিকারিক কোনও ব্যক্তিকে ফাঁসিয়ে দিতে চান, তিনি নিজের মর্জিতে ভারতীয় দণ্ডবিধি-র ১২৪(এ) ধারা প্রয়োগ করেন।"
advertisement
অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপালকে প্রধান বিচারপতি সিভি রমন বলেন, "রাষ্ট্রদ্রোহ আইনটি ঔপনিবেশিক। মহাত্মা গান্ধীর মুখ বন্ধ করতে, পরাধীন ভারতে স্বাধীনতা আন্দোলনকে দমন করার জন্য এই আইনের প্রয়োগ করতো ব্রিটিশরা। কিন্তু, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও আমাদের দেশে এই আইন রাখার প্রয়োজন কী?" বিচারপতিরা আরও বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার যখন অনেক পুরোনো আইন বাতিল করে দিচ্ছে। তখন এই আইন বাতিল করা হচ্ছে না কেন?"
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে উপস্থিত অ্যাটর্নি জেনারেলকে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, "এই আইনের অপব্যবহার নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা কোনও রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রকে দোষ দিচ্ছি না। কিন্তু, দেখুন যেমন তথ্যপ্রযু্ক্তি আইনের ৬৬এ ধারা বাতিল হওয়া সত্ত্বেও এখনও সেই আইন কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে! কত হতভাগা মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই আইনটি বাতিল করা যায় কিনা ভাবুক সরকার।"