আগামী ১৫ মার্চ পর্যটকদের নিয়ে কাটিহার স্টেশন থেকে রওনা হবে এই স্পেশাল ট্রেন। দক্ষিণ ভারত দর্শন শেষে কাটিহারে ফিরে যাবে ২৫ মার্চ। যাত্রার শুরুতে কাটিহারের পরে মুঙ্গের হয়ে, তারপর ভগলপুর, দুমকা হয়ে কলকাতা।
আরও পড়ুন: সাসপেন্ড হতে পারেন আইনজীবীরা, বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বিতর্কে তুঙ্গে বিতর্ক
বিভিন্ন স্টপেজ থেকে পর্যটকদের তুলে তারপর সোজা দক্ষিণ ভারতমুখী ছুটবে এই ট্রেন। একে একে পৌঁছবে তিরুপতি, রামেশ্বরম, কন্যাকুমারী, মাদুরাই হয়ে মল্লিকার্জুন। সংশ্লিষ্ট এলাকার স্টেশন থেকে ডেস্টিনেশন পর্যন্ত পর্যটকেরা উঠবে বাসে। বাসে করে শহর এবং ধর্মীয় স্থান পরিদর্শন। বিভিন্ন জায়গায় হোটেলে রাত কাটিয়ে আবারও ট্রেনে করে নেক্সট ডেস্টিনেশন।
advertisement
এই স্পেশাল ট্রেনে তিন ধরনের প্যাকেজ থাকছে। স্লিপার কোচ, এসি টু টায়ার এবং থ্রি টায়ার। স্লিপার কোচে মাথাপিছু খরচ ২০ হাজার ৯০০ টাকা। এসি থ্রি টায়ারে মাথাপিছু ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা। এসি টু টায়ারে মাথাপিছু খরচ ৪৩ হাজার টাকা। এই প্যাকেজের মধ্যেই থাকছে পর্যটকদের থাকা, খাওয়া, ধর্মীয় স্থান পরিদর্শন, বাস ভাড়াও।
আরও পড়ুন: রাতের গার্লস হস্টেলের বাথরুমে উঁকি মারছে কে? মারাত্মক ঘটনা কল্যাণীতে! ভোর হতেই বাইরে ছাত্রীরা
আইআরসিটিসি কর্তারা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ ভারতের পুণ্যস্থান দর্শনের এই সফরের বন্দোবস্ত এই প্রথম। এর আগে গুয়াহাটি থেকে এই ধরনের প্যাকেজের কথা ঘোষণা করা হলেও যাত্রী না হওয়ায় পরিষেবা চালানো যায়নি। তবে এবারে শুরুতেই ভাল সাড়া মিলছে বলে দাবি করেছেন কর্তারা।
আইআরসিটিসির চিফ সুপার ভাইজার দীপঙ্কর মান্না এই প্রসঙ্গে বলেন, "ঘোরার পথে যাত্রীদের সুবিধা-অসুবিধার কথা ভেবে ট্রেনে মেডিক্যল টিম ও এটেন্ডেন্টও রাখা হচ্ছে। খুব অসুস্থ হলে কাছাকাছি কোনও হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা করা হবে।" তিনি জানান, ট্রেনে আপাতত ৮০০ জনের যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্তত ৫০ শতাংশ যাত্রী হলেই ১৫ মার্চ রওনা হবে ট্রেনটি। এজন্যে সংস্থার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে নজর রাখতে হবে।