প্রশাসন সূত্রে খবর, সোমবার সংঘর্ষে তিনজন সাধারণ নাগরিক ও এক আধাসেনা জওয়ান আহত হওয়ার পরেই এলাকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও মঙ্গলবার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুনঃ সোনার দাম নিয়ে গোল্ডম্যান শ্যাক্সের নতুন প্রতিবেদন, জেনে রাখুন ২০২৬ সালে ১০ গ্রাম সোনার দাম কত হবে
advertisement
সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে অসম পুলিশের ৮ কোম্পানির একটি ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি, অতিরিক্ত ৫ কোম্পানি সিআরপিএফ পাঠানো হয়েছে। দীফু শহর-সহ গোটা জেলায় পুলিশকে হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে।
এদিন পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে অসমের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (ডিজিপি) হারমিত সিং নিজেও হামলার শিকার হন। তিনি বলেন, “আমার উপর ধনুক-বাণ ও পাথর ছোড়া হয়েছে। আমাকে ঢাল দিয়ে রক্ষা করতে হয়েছে। কাঁচা বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত হামলা।”
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিক্ষোভকারীরা একে অপরের দিকে পাথর ছোড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। তবে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং শতাধিক পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয় যাতে হিংসা আর না ছড়ায়। এর আগে খেরোনি এলাকায় বিক্ষোভকারীরা দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় বলেও অভিযোগ ওঠে।
এই সংঘর্ষের মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে জমি সংক্রান্ত বিরোধ। কার্বি সম্প্রদায়ের একাংশের দাবি, তাদের পৈতৃক ও সংরক্ষিত আদিবাসী জমি অন্য অ-আদিবাসী সম্প্রদায়ের দখলে চলে যাচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা পেশাদার চারণভূমি সংরক্ষণ এলাকা (Professional Grazing Reserve – PGR) এবং গ্রাম চারণভূমি সংরক্ষণ এলাকা (Village Grazing Reserve – VGR) থেকে তথাকথিত অনুপ্রবেশকারীদের উচ্ছেদের দাবি জানাচ্ছেন। অভিযোগ, এই অনুপ্রবেশকারীদের অধিকাংশই বিহার থেকে এসেছেন।
পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে অসম সরকার কার্বি আংলং ও পশ্চিম কার্বি আংলং জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট ও ডেটা পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, পরিস্থিতি এখনও সংবেদনশীল হলেও নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে এবং যেকোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে।
