অরুণাচলের (Arunachal Pradesh) আপার সিয়াং জেলা থেকে মিরাম তারন (Miram Taron) নামে ১৭ বছরের এক কিশোরকে অপহরণ করে চিনা বাহিনী। তার বন্ধু জনি ইয়াইং পালাতে সক্ষম হলেও, মিরাম পারেনি। তবে সেই বন্ধুই মিরামের অপহরণের কথা জানিয়েছিলেন।
এরপরেই ট্যুইট করেন বিজেপি সাংসদ তাপির গাও( BJP MP Tapir Gao)। লেখেন, ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওই কিশোরকে ৷ ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে ট্যাগও করেন তিনি ৷
advertisement
চিনা আগ্রাসনের এই উদাহরণ একেবারেই নতুন নয়৷ ২০২০ সালেও সেপ্টেম্বর মাসে অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) থেকে, পাঁচ যুবককে অপহরণ করেছিল পিএলএ। যে পাঁচজন ভারতীয় নাগরিককে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ, তাঁরা ভারতীয় সেনার হয়ে পোর্টার এবং গাইড হিসেবে কাজ করতেন বলে খবর৷ তাঁদের নাম তোচ সিংকাম, প্রসাত রিংলিং, ডংটু এবিয়া, তানু বেকার এবং এনগুরু দিরি৷
আরও পড়ুন: ২০২২-এর বাজেট রক্ষণশীল নয়, বরং অনেক বেশি দায়িত্বশীল: নির্মলা সীতারমন
সেনাবাহিনীর অপহরণের পরই ভারতীয় সেনা, পিএলএর সঙ্গে তাদের হটলাইন সক্রিয় করে। প্রতিরক্ষা বাহিনী সূত্রে খবর, ভারতীয় সেনা চিনকে জানিয়েছিল, ভেষজ সংগ্রহ এবং শিকার করতে গিয়ে পথ হারিয়েছিল ওই কিশোর। তারপরেই শুরু হয় তার খোঁজ৷ তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে পিএলএ-র সহায়তা চাওয়া হয়েছিল। দু দিন আগে ফেরানো হয় তাঁকে৷
আরও পড়ুন: সূর্যপ্রণামকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে কংগ্রেস! 'ঐচ্ছিক' করা হোক এই নিয়ম, দাবি বিধায়কের
অরুণাচল প্রদেশে চিনা আগ্রাসন ক্রমশ বাড়ছেই৷ সীমান্তের ১৩টি জেলার নাম ইতিমধ্যে বদলে ফেলেছে বেজিং৷ গত ২ বছর ধরে চিনের সঙ্গে লাদাখ নিয়ে টানাপোড়েন চলছে ভারতের। গালওয়ান সংঘর্ষ দুই দেশের সম্পর্ককে বিগড়ে দিচ্ছে ক্রমশ৷ ভারত বোঝাপোড়ার কথা বললেও চিন বারবার তার আগ্রাসী মনোভাব বজায় রেখেছে৷ সম্প্রতি চিনা ফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনার বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। ভারতীয় সেনা বারবারই হটস্প্রিং এলাকা থেকে সেনা সরানোর কথা বলেছে। রাজি হয়নি চিনা ফৌজ। ক্রমাগত এই ধরনের ঘটনা চিন্তা বাড়াচ্ছে সীমান্তে৷ এই মুহূর্তে শুধু ছেলের কোভিড পরীক্ষা নয়, তার ক্ষতও সারাতে চান অসহায় বাবা৷