উল্লেখ্য, নিজের মেয়ে শিনাকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ইন্দ্রাণীকে। অতীতে তাঁর জামিনের আবেদন বহুবার খারিজ হয়ে যায় আদালতে। গত বুধবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় এই ঘটনায় ছয় বছর হেফাজতে কাটিয়েছেন।
আরও পড়ুন : 'লক' করা হল এসএসসি দফতরের সার্ভার! কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজর কোনদিকে?
এই মামলার বিচার শীঘ্র শেষ হবে না। সুপ্রিম কোর্ট আরও জানায়, এই মামলায় অপর অভিযুক্ত পিটার মুখোপাধ্যায় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জামিন পেয়েছিলেন। CBI-এর বিশেষ আদালত ইন্দ্রানিকে জামিন দিয়েছিল।
advertisement
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে নিখোঁজ হয়েছিলেন ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে শিনা বোরা। গুয়াহাটিতে দাদু-দিদার কাছে থাকতেন এই তরুণী ও তাঁর ভাই মিখাইল। জানা যায়, মিডিয়া ব্যারন পিটার মুখোপাধ্যায়কে মুম্বইয়ে বিয়ে করেছিলেন ইন্দ্রানী। ২০১৫ সালে এই মামলা সামনে আসতেই উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। সামনে আসতে থাকে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ঘটনার তদন্তে উঠে আসে পিটার মুখোপাধ্যায় ও তাঁর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্নার নাম। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতে থাকে। কীভাবে ক্ষমতাশালী হলেন ইন্দ্রানী, পিটারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে বিস্তর তোলপাড় চলছিল। এদিকে পিটারের সঙ্গে ইন্দ্রাণীর বিয়ের কথা জানার পর মুম্বইয়ে গিয়েছিলেন শিনা, সূত্রের খবর এমনটাই। অভিযোগ উঠেছিল, সেই সময় শিনাকে নিজের বোন হিসেবে পরিচয় দিত ইন্দ্রাণী। অভিযোগ, শিনার সঙ্গে পিটারের ছেলে রাহুলের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সম্পর্কের টানাপোড়েনে শিনার মৃত্যুর তত্ত্বও উঠে এসেছিল তদন্তে।