রাজার বাবা অশোক রঘুবংশী সোমবার দাবি করেন, রাজার স্ত্রী সোনম তান্ত্রিক আচারে বিশ্বাস করতেন। ইনদওরে রাজার পারলৌকিক কাজের পরে অশোক রঘুবংশী বলেন, ‘সোনমের নির্দেশে রাজা আমাদের বাড়ির মূল দরজায় একটি পুটুলি ঝুলিয়ে দেয়। ওরা তন্ত্র-মন্ত্রে বিশ্বাস করত এবং আমার ছেলের উপরেও সেই কালাজাদু প্রয়োগ করেছিল।
advertisement
রাজার বাবা বলেন, ‘রাজাকে খুনের পর বাড়ি থেকে ওই পুটুলি সরিয়ে ফেলা হয়। রাজার মা উমা রঘুবংশী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “সোনম ও রাজা দুজনেই মাঙ্গলিক ছিল। এক জ্যোতিষীর পরামর্শে আমরা বিয়ের তারিখ ঠিক করেছিলাম। বিয়ের চারদিন পর বাপের বাড়ি চলে যায় সোনম। যদি কখনও সোনমের সঙ্গে দেখা হয়, আমি ওঁকে জিজ্ঞাসা করব, কেন ও আমার ছেলেকে মারল।”
পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, সোনমের সঙ্গে প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার সম্পর্ক ছিল। তার নির্দেশেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। পুলিশ এখন খুনের নেপথ্যের কারণ, ষড়যন্ত্রে কারা কারা জুক্ত ছিল[, সেই সব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখছে। রাজার স্ত্রী সোনম, তার কথিত প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা এবং তার তিন বন্ধুকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৩ মে মেঘালয়ের বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র চেরাপুঞ্জিতে (সোহরা) মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান রাজা। ২ জুন একটি জলপ্রপাতের কাছে গভীর গিরিখাত থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গত ১১ মে রাজা ও সোনম গাঁটছড়া বাঁধেন। মধুচন্দ্রিমার জন্য ২০ মে মেঘালয়ের উদ্দেশে রওনা দেন এই দম্পতি। তারপরেই এই মর্মান্তিক ঘটনা।