ক্ষমা বিয়ের পরে এক সাক্ষাৎকারে জানালেন, কোনও হুমকি তিনি পাননি। কিন্তু শান্তিপূর্ণ ভাবে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন বলেই বিয়ের তারিখ এগিয়ে আনেন।
বুধবার নিজের বাড়িতেই নিজের সঙ্গে বিয়ে সারলেন ক্ষমা। সূত্রের খবর, কোনও পুরোহিত ছিলেন না বিয়ে দেওয়ার জন্য। যে পুরোহিতের ক্ষমার বিয়ে দেবেন বলে রাজি হয়েছিলেন, তিনি তার পরে নিজে থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন বিতর্ক এড়িয়ে যাওয়ার জন্য। ক্ষমার স্ববিবাহের অনুষ্ঠানে গায়ে হলুদ, মেহেন্দি সব রীতিই পালন করা হয়েছে। মেহেন্দিতে হবু বরের নাম লেখার প্রচলনের কথা মাথায় রেখে হাতে নিজের কথা লিখেছেন ক্ষমা, 'একটি মেয়ে, যে চেষ্টা করে যায়।' নিজের সিঁথিতে নিজেই সিঁদুর পরিয়েছেন ক্ষমা। নিজের গলায় মঙ্গলসূত্র পরিয়ে বরমালাও পরেছেন নিজে। সাতপাক ঘুরেছেন নিজের সঙ্গেই। এমনকি নিজের সঙ্গে বিয়ের পরে মধুচন্দ্রিমার কথাও ভেবেছেন তিনি। গোয়া যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর।
advertisement
আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য! 'নিজেকে ভালোবাসি', তাই নিজেকে নিজেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত যুবতীর!
সূত্রের খবর, বিয়ে চলাকালীন নাকি আবাসন থেকে আপত্তি জানানো হয়। তাঁকে এমনকি ঘর ছেড়ে দিতেও বলা হয়।
ক্ষমা নারী এবং পুরুষ, উভয় লিঙ্গের প্রতিই আকৃষ্ট বলে জানিয়েছিলেন। সমাজতত্ত্ব নিয়ে স্নাতক পাশ করে এখন একটি বেসরকারি সংস্থায় উচ্চপদে চাকরিরত তিনি। তাঁর মা-বাবা, দু'জনে পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। ক্ষমা জানিয়েছেন, তাঁর মা অন্য শহরে বসবাস করেন। আর তিনি তাঁর মেয়ের এই ‘প্রথা ভাঙা বর-হীন’ বিয়েতে অনুমতিও দিয়েছেন। ক্ষমার কথায়, ''নিজেকে বিয়ে করা মানে, নিজেকে নিঃশর্ত ভাবে ভালবাসা, সব সময়ে নিজের পাশে দাঁড়ানো। নিজে যে রকম, সে ভাবেই নিজেকে মেনে নেওয়ার একটি পদক্ষেপও বটে। মানুষ তো কাউকে ভালবেসেই বিয়ে করে। আমি নিজেকে ভালবাসি, তাই নিজেকে বিয়ে করলাম।''
আরও পড়ুন: নিজেকেই বিয়ে করবেন গুজরাতের যুবতী, আইনত স্ব-বিবাহ বলে কি আদতে কিছু হয়? জানুন
বিয়ের সমস্ত রীতি পালন করার পর তিনি ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে সকল অনুরাগীকে ধন্যবাদ জানালেন। যাঁরা এত দিন ধরে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের প্রতি নিজের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন ক্ষমা।