এই পদক্ষেপ উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ডিভিশনগুলিতে অতিরিক্ত সৌরশক্তি প্রকল্প স্থাপনের সাক্ষী হয়েছে, এক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে ৬৭২ কেডব্লিউপি-এর সাথে রঙিয়া ডিভিশন, এরপর রয়েছে লামডিং ডিভিশনের ৫৪৫ কেডব্লিউপি এবং আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের অবদান ৬০ কেডব্লিউপি। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে জোনে এখন ক্রম-বর্ধমান সৌরশক্তি ক্ষমতা ৩১ অক্টোবর, ২০২৪ পর্যন্ত আকর্ষণীয় ৭৩৯৯ কেডব্লিউপি-এ পৌঁছে গেছে। উল্লেখযোগ্য এই অবদানের মধ্যে লামডিং ডিভিশন (২৮৮২ কেডব্লিউপি), রঙিয়া ডিভিশন (১১৪৬ কেডব্লিউপি), কাটিহার ডিভিশন (৬১০ কেডব্লিউপি), আলিপুরদুয়ার ডিভিশন (৪৪১ কেডব্লিউপি), তিনসুকিয়া ডিভিশন (১৯০ কেডব্লিউপি)এবং নিউ বঙাইগাঁও ও ডিব্রুগড় উভয় ওয়ার্কশপে ১০০০ কেডব্লিউপি সৌর প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
advertisement
এনএফআর-এর মুখ্য কার্যালয়েও ১৩০ কেডব্লিউপি ক্ষমতার সৌর শক্তি উৎপন্ন করার ব্যবস্থা রয়েছে। সৌরশক্তি স্থাপনের ফলে বিরল গতানুগতিক শক্তির উৎসের উপর উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের নির্ভরশীলতা হ্রাস করতে সাহায্য হওয়ার পাশাপাশি নবীকরণযোগ্য শক্তির সাথে স্থিতিশীল পরিচালনার জন্য এক উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সৌরশক্তির পরিকাঠামো সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রসর হচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন ডিভিশনে অতিরিক্ত ৩৯৩৫ কেডব্লিউপি সৌরশক্তি উৎপাদন প্রকল্প স্থাপনের কাজ চালানো হচ্ছে এবং শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য ৪০,৪১১ কেডব্লিউপি সৌর প্রকল্পের জন্য আরও টেন্ডার টেন্ডার জারি করা হয়েছে। ভারতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্কের মধ্যে সবুজ শক্তি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে এই অভিলাষী পরিকল্পনা উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েকে প্রথমসারির স্থান প্রদান করবে।
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ‘গো গ্রিন’ পদক্ষেপ পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ও শক্তি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তাদের দৃঢ় দায়বদ্ধতাকেই প্রদর্শন করে। নবীকরণযোগ্য শক্তির সাহায্যে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে শুধুমাত্র তার কার্বন নির্গমন হ্রাস করবে না, বরং তার পাশাপাশি দেশের স্থিতিশীল উন্নয়ন ও স্বচ্ছ শক্তি গ্রহণের বৃহত্তর লক্ষ্যের প্রতি অবদানও রাখছে। পরিবেশ অনুকূল এবং দক্ষ পরিবহণ পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে তার অভিযানে উৎকৃষ্টতার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।