এই প্রকল্প পরিকল্পনাটি উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের রঙিয়া ডিভিশনের অধীনে পড়েছে। পরিদর্শনে গিয়ে জেনারেল ম্যানেজার খুব ভাল ভাবে রেলওয়ে নির্মাণ সংক্রান্ত কাজগুলির অগ্রগতি মূল্যায়ন করে দেখেছেন। এই কাজগুলি হল, ট্র্যাক বসানো, ইয়ার্ড তৈরি করা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা তথা দ্রুত গতিতে এই টার্মিনাল হাব সম্পূর্ণ করার লক্ষ্য নিয়ে পরিকল্পিত সূচি মেনে সব কাজ হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করা।
advertisement
যোগীঘোপা এমএমএলপি হল কৌশলগত দিক দিয়ে উল্লেখযোগ্য একটি পরিকাঠামো প্রকল্প। যা উত্তর পূর্ব ভারতের জন্য লজিস্টিক্স হাব হিসাবে কাজ করবে, রেলওয়ে ও অভ্যন্তরীণ জলপথের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করবে। এই হাব গেলেফু (ভুটান) থেকে ৯১ কিমি, বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১০৮ কিমি ও গুয়াহাটি থেকে ১৪৭ কিমি দূরে অবস্থিত বলে এটি বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্যের মূল প্রবেশ দ্বার হয়ে উঠেছে।
এই টার্মিনালে থাকবে ওয়্যারহাউজ, কোল্ড স্টোরেজ, কাস্টম ক্লিয়ারেন্স পরিষেবা ও একাধিক রেল সাইডিং। যা উল্লেখযোগ্য ভাবে পণ্য চলাচলে সহায়ক হবে।এই প্রকল্পে রেলওয়ের অংশের কাজ হল তিনটে রেল লাইন তৈরি করা, ভবিষ্যতে যা পাঁচটি লাইন পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। এই টার্মিলান থেকে সম্পূর্ণ ভাবে কাজকর্ম চালু হয়ে গেলে প্রত্যেক মাসে ২৫টি ইনওয়ার্ড ও ২৫টি আউটওয়ার্ড রেক সামলানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যার ফলে গাড়ির যন্ত্রাংশ, সার, খাদ্যশস্য, স্টিল, কয়লা, ক্লিঙ্কার, স্টোন চিপ ও অন্যান্য আবশ্যক পণ্যের পরিবহন সম্ভব হবে।
সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ জলপথ অংশের উদ্বোধন করা হয়েছে। সেটার কাজকর্ম ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। যার ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে বাধাহীন ভাবে পণ্য চলাচল হচ্ছে।সব কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে এই টার্মিনালের প্রবল অর্থনৈতিক ও লজিস্টিক্যাল উপকারিতা দেখতে পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় কমে যাবে, জোগান শৃঙ্খলার সামর্থ্য বৃদ্ধি হবে এবং উত্তর পূর্বাঞ্চল ও তার সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে শিল্পক্ষেত্রের বিকাশ হবে। পড়শি দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ককে উন্নত করার মাধ্যমে বাণিজ্যকে মদত দেওয়া, স্থানীয় শিল্পক্ষেত্রগুলিকে সহায়তা করা এবং ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট পলিসিকে মজবুত করার ক্ষেত্রে এই এমএমএলপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যোগীঘোপা মাল্টি মোডাল লজিস্টিক্স হাব-এর কাজ বেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এই হাব এ অঞ্চলের পণ্য সংক্রান্ত লজিস্টিক্সের ক্ষেত্রে এক বড়সড় বদল আনবে। অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও যোগাযোগের জন্য রেলওয়ে পরিকাঠামোকে উন্নত করার প্রতি উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের যে দায়বদ্ধতা, তাকেও এই হাব আরও মজবুত করবে।