মানব পাচারের কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই জন ব্যক্তিকেও গ্রেফতারও করেছে আরপিএফ। কাটিহার, পুর্নিয়া, বারসোই, কুমেদপুর, নিউ বঙাইগাঁও, রঙিয়া, কামাখ্যা, গুয়াহাটি, মরিয়নি, তিনসুকিয়া, নিউ জলপাইগুড়ি, নিউ তিনসুকিয়া ও ডিমাপুর রেলওয়ে স্টেশনের পৃথক পৃথক স্থানে এই অভিযানগুলি চালানো হয়। নিরাপদ হেফাজতের জন্য নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত উদ্ধার হওয়া শিশুদের সংশ্লিষ্ট চাইল্ড লাইন এবং উপযুক্ত ভেরিফিকেশনের পর পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: এক ক্লিকে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল দেখুন News18 Bangla-র ওয়েবসাইটে
২২ মে, ২০২৩ তারিখের একটি ঘটনায় কাটিহার রেলওয়ে স্টেশনে মেরি সহেলি টিমের সঙ্গে কাটিহারের আরপিএফ অভিযান চালিয়ে পলাতক একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেকে উদ্ধার করে। নিরাপদ হেফাজত ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য পরে উদ্ধার হওয়া ছেলেটিকে চাইল্ড লাইন/কাটিহারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ২১ মে, ২০২৩ তারিখের একটি ঘটনায় ডিমাপুরের আরপিএফ ০৩ জন পলাতক অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে ডিমাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে উদ্ধার করে। পরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য তাদের চাইল্ড লাইন, ডিমাপুরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে উদ্ধারকৃতদের পিতামাতাকেও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: সবজির খেতে দাঁড়িয়ে স্বপ্ন শিবমের, খিদে চেপে মাধ্যমিকের খাতায় বাজিমাত! এ ছেলের দৌড় বহুদূর
১৭ মে, ২০২৩ তারিখে পুর্নিয়ার ‘বাঁল বাচাও’ আন্দোলন টিম-এর সদস্য ও জিআরপি-এর সঙ্গে আরপিএফ যৌথভাবে পুর্নিয়া রেলওয়ে স্টেশনে একটি সফল অভিযান চালায় এবং সাত জন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেকে উদ্ধার করে ও স্টেশন চত্বর থেকে দুইজন মানব পাচারকারীকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে উদ্ধার করা ছেলেগুলি-সহ ধৃত দুই মানব পাচারকারীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য জিআরপি/পুর্নিয়ার হাতে তুলে দেওয়া হয়। রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী মানব পাচারকারীর কার্যে জড়িত সন্দেহজনক ব্যক্তিদের পাশাপাশি সন্দেহজনক অবস্থায় শিশুদের চলাফেরা করা, অভিভাবক ছাড়া শিশুদের একা একা ভ্রমণ করা ইত্যাদি বিষয়েও সর্বদা সতর্ক থাকে।