এটি হল টিকিট বুকিং করার সময় তিনটি ‘সি’ তথা কনট্যাক্টলেস টিকেটিং (সংস্পর্শহীন টিকিট কাটা), ক্যাশলেস ট্র্যানজেকশন (নগদহীন লেনদেন) ও কাস্টোমার কনভেনিয়েন্স (গ্রাহক সুবিধা) এবং অভিজ্ঞতা প্রচারের লক্ষ্যের সঙ্গে ডিজিটাইজেশন উদ্যোগের একটি অংশ। ডায়নামিক কিউআর-এর মাধ্যমে ইউটিএস টিকিট উৎপন্ন করার লক্ষ্য হল বর্তমানের ভার্চুয়াল পেমেন্ট অ্যাড্রেস (ভিপিএ)-এর মাধ্যমে ইউপিআই ব্যবহার করার কষ্টকর প্রক্রিয়াটি নির্মূল করা।
advertisement
আরও পড়ুন: ভোটের মুখে বড় দুর্ঘটনা! বিহারে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ সেতু, চাপা পড়ে শ্রমিকেরা
এর আগে যাত্রীদের ভিপিএ অ্যাপ্লিকেশনে একটি লিঙ্ক উৎপন্ন করার জন্য কর্ত্যরত বুকিং ক্লার্কের সঙ্গে নিজেদের ইউপিআই আইডি শেয়ার করতে হত। ভিপিএ অ্যাপ্লিকেশনে লিঙ্কটি ব্যবহার করে যাত্রীরা টিকিটের টাকা পরিশোধ করতে সক্ষম হতেন। বুকিং সিস্টেমে পেমেন্ট নিশ্চিত হওয়ার পর যাত্রীদের জন্য টিকিট উৎপন্ন করা হতো।
ডায়নামিক কিউআর-এর মাধ্যমে টিকিট উৎপন্ন করার এই নতুন প্রক্রিয়াটি বুকিঙের দক্ষতা বৃদ্ধি ও অসংরক্ষিত টিকিট ক্রয় করা, টিকিট কাউন্টারে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন হ্রাস করা এবং ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল বুকিং প্রক্রিয়ায় উৎসাহিত করার লক্ষ্যে শুরু করা হয়েছিল। কেন্দ্রে মোদি সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই ডিজিটাল ভারতের দিকে এগিয়ে চলেছে দেশ।
আরও পড়ুন: পোষ্য কুকুর কি টিভির দিকে তাকিয়ে বসে থাকে? সত্যিই কি সে টিভি দেখে? কীসের ইঙ্গিত এটি জানলে চমকে যাবেন
গোটা দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভারতীয় রেলও জোরকদমে ডিজিটালাইজেশনের দিকেই ঝুঁকেছে। রেলের লক্ষ্য টিকিট ব্যবস্থার সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশন করা। ভারতীয় রেলের যাবতীয় পরিষেবাই বর্তমানে অনলাইন মাধ্যমে পাওয়া যায়। দূরের কোথাও যাতায়াতের জন্য এখন মোবাইলের এক ক্লিকেই টিকিট বুক করে নেওয়া যায়। প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করেন ট্রেনে। দূরের গন্তব্যে যাতায়াতের জন্য দূরপাল্লার ট্রেনেরই উপরে ভরসা রাখেন দেশের নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে সব কাজই ডিজিটাল মাধ্যমেই হয়। ব্যতিক্রম নয় রেল পরিষেবাও। ভারতীয় রেলের যাবতীয় পরিষেবাই বর্তমানে অনলাইন মাধ্যমে পাওয়া যায়। দূরের কোথাও যাতায়াতের জন্য এখন মোবাইলের এক ক্লিকেই টিকিট বুক করে নেওয়া যায়। ট্রেনে খাবারের ব্যবস্থাও একইভাবে সহজ করা হয়েছে। আইআরসিটিসির মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে অনলাইনেই খাবার বুক করে নেওয়া যায়।
আবীর ঘোষাল