নয়াদিল্লি: আরারিয়া-ঠাকুরগঞ্জ সেকশনে সুগম ও অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক ট্রেন চলাচলের জন্য ১৩২ কেভি ট্রান্সমিশন লাইনচালু উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে কাটিহার ডিভিশনের অধীনে আরারিয়াগ্রিড সাব-স্টেশন (জিএসএস) থেকে আরারিয়া ট্র্যাকশন সাব- স্টেশন (টিএসএস) পর্যন্ত ১৩২ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন সফলভাবে চালু করে বিদ্যমান রেলওয়ে বৈদ্যুতিকরণ পরিকাঠামো শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছে। নতুন চালু হওয়া ট্রান্সমিশন লাইনটিতে ৫.৯ কিলোমিটার ওভারহেড লাইন রয়েছে এবং এটি ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে চালু করা হয়েছে।
advertisement
এই গুরুত্বপূর্ণ ট্র্যাকশন পাওয়ার সাপ্লাই পরিকাঠামোর শুরু হওয়ার ফলে বিদ্যুতের সহজলভ্যতা এবং পরিচালনগত নির্ভরযোগ্যতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে সুগম ও বর্ধিত ক্ষমতার সাথে বৈদ্যুতিক ট্রেনের চলাচল সম্ভব হবে। এটি কাটিহার-যোগবানি সেকশন এবং নবনির্মিত আরারিয়া-ঠাকুরগঞ্জ লাইনের বর্তমান চাহিদার পাশাপাশি ভবিষ্যতের ট্র্যাফিক বৃদ্ধির চাহিদাও পূরণ করবে, যার ফলে উত্তর বিহারের এই অংশে বৈদ্যুতিক ট্রেন পরিষেবার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, সুরক্ষিত ও স্থিতিশীল পরিচালন সহজ হবে।
আরও পড়ুন : এসআইআর আবহে মতুয়া গড়ে মোদি, গডকড়ীকে পাশে নিয়ে কী আশ্বাস দেন? আজ নজরে নদিয়া!
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের প্রিন্সিপাল চিফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (পিসিইই) গত ৩০ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে কাটিহার ডিভিশনের অধীনে আরারিয়া এবং আরারিয়া কোর্ট–বিবিগঞ্জ সেকশনটি পরিদর্শন ও চালু করেন, যেখানে মোট ৬৭.১৮৬ রুট কিলোমিটার (আরকেএম) এবং ৮২.৬৯৮ ট্র্যাক কিলোমিটার (টিকেএম) অন্তর্ভুক্ত। এটি এই সেকশনে বৈদ্যুতিকরণ প্রক্রিয়ার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
১৩২ কেভি ট্রান্সমিশন লাইনের শুরু এবং ওভারহেড ইকুইপমেন্টেসফলভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশনের জন্য বিদ্যুতের নির্ভরযোগ্যতা ও পরিকাঠামোগত মজবুতিকরণ বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ধারাবাহিক প্রচেষ্টাকেই তুলে ধরে। এই উন্নয়নটি আস-পাশের সেকশনগুলিতে সম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া বৈদ্যুতিকরণ কাজের পরিপূরক, যার ফলে এই অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বৈদ্যুতিক ট্রেন চলাচল এবং উন্নত যোগাযোগের পথ প্রশস্ত হয়েছে। এটি ২০৩০-এর মধ্যে নেট জিরো কার্বন নির্গমন অর্জনের ভারতীয় রেলওয়ের লক্ষ্যের সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা আধুনিক, শক্তি-সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ-বান্ধব রেল পরিবহনের প্রতি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অঙ্গীকারকে পুনঃনিশ্চিত করে।
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন এর ফলে ট্রেন চলাচলের গতি বাড়বে। সেকশনে কম সময়ে একাধিক ট্রেন চালানো যাবে।
