এই কমিশনিং-এ ৫৯টি রুটে পরিবর্তন করা হয়, যার ফলে নিউ জলপাইগুড়িতে মোট রুটের সংখ্যা ৪৮০ হয়ে গেছে। এই মুখ্য বর্ধিতকরণের ফলে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে নমনীয়তা বৃদ্ধি পাবে, যানজট কমে যাবে এবং স্টেশনের মধ্য দিয়ে ট্রেনের সুগম চলাচল নিশ্চিত হবে। এই নন-ইন্টারলকিং কাজের অংশ হিসেবে, লাইন নং. ৪ ক্লিয়ার স্ট্যান্ডিং লেঙ্থ(সিএসএল)-কেও সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়েছে, যার ফলে লম্বা ট্রেনগুলি হ্যান্ডলিং করতে সুবিধাজনক হবে, শান্টিং কার্যক্রম উন্নত হবে এবং উন্নত ইয়ার্ড ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে। এই বিকাশের ফলে ভবিষ্যতে রেল পরিচালনায় দ্রুত এবং আরও দক্ষতা নিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
advertisement
সম্প্রতি নিউ জলপাইগুড়িতে ট্রেন বাতিল এবং পথ পরিবর্তনের ফলে এই পরিকাঠামোগত কাজ কম সময়ের মধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। বৃহৎ পরিসরে পথ পরিবর্তন এবং ইয়ার্ডের উন্নয়নের জন্য এই ধরনের বাতিলকরণ প্রয়োজনীয় ছিল। এই কাজের সুবিধা প্রচুর হবে, যার মধ্যে উন্নত কর্মক্ষম নমনীয়তা, বর্ধিত সময়ানুবর্তিতা, বর্ধিত রক্ষণাবেক্ষণ ক্ষমতা এবং ভবিষ্যতে পরিষেবা এবং মাল পরিবহনের সম্প্রসারণের জন্য আরও ভাল প্রস্তুতি রয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা বিপুল সংখ্যক দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেন, স্থানীয় যাত্রী পরিষেবা এবং মালবাহী পরিবহণ ব্যবস্থার পরিচালনা করে।
এই প্রকল্পটি সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টেশনটি এখন বর্তমান যাতায়াতের পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাত্রী ও মালবাহী চাহিদা বৃদ্ধি সামালতে আরও ভালভাবে সজ্জিত।উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে বিশ্বমানের পরিকাঠামোর বিকাশ এবং যাত্রী ও মালবাহী গ্রাহকদের উন্নত পরিষেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। নিউ জলপাইগুড়ি ট্রিপ শেড সাইডিং-এর সাম্প্রতিক কমিশনিং একটি শক্তিশালী এবং দক্ষ রেলওয়ে নেটওয়ার্ক তৈরির দিকে একটি বড় পদক্ষেপ, যা এই অঞ্চল এবং উত্তর পূর্ব ভারতের মানুষের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করতে পারে।