৫১.৩৮ কিলোমিটার ভৈরবী-সাইরাং নতুন লাইন রেলওয়ে প্রকল্পটি ভারতীয় রেলওয়ের সর্ব অর্থেই বিস্ময়। এই প্রকল্পে ৪৮টি টানেল, ৫৫টি প্রধান সেতু এবং ৮৭টি ছোট সেতু রয়েছে। এই প্রকল্পে মোট টানেলের দৈর্ঘ্য ১২,৮৫৩ মিটার। ১৯৬ নম্বর সেতুর উচ্চতা ১০৪ মিটার যা কুতুবমিনারের চেয়ে ৪২ মিটার বেশি। এই প্রকল্পে ৫টি রোড ওভার ব্রিজ এবং ৬টি রোড আন্ডার ব্রিজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই নতুন লাইন প্রকল্পটিকে চারটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে ভৈরবী – হর্তোকি, হর্তোকি – কাউনপুই, কাউনপুই – মুয়ালখাং এবং মুয়ালখাং – সাইরাং।
advertisement
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (নির্মাণ), শ্রী অরুণকুমার চৌধারী ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন রেল কর্মীদের উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক এই ট্রায়াল রান সম্পন্ন করা হয়। তাঁদের উপস্থিতি এই সাফল্য অর্জনের গুরুত্ব এবং কঠিন ভূখণ্ড ও লজিস্টিক চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে ওঠার জন্য উত্তর-পূর্বসীমান্ত রেলওয়ে টিমের নিষ্ঠার প্রতিফলন ঘটায়। সাইরাং-এ সফল পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর পর, শ্রী চৌধারী মিজোরামের মাননীয় রাজ্যপাল জেনারেল (ডঃ) বিজয় কুমার সিং এবং মিজোরামের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী লালদুহোমাকে ভৈরবী-সাইরাং রেলপথ প্রকল্পের পরিধি, অগ্রগতি এবং কৌশলগত গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে ব্রিফিং প্রদান করেন। শ্রী চৌধারী আরও বলেন যে, প্রকল্পের নির্মাণকাজ সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে চলেছে। জানান, জুনের শুরুতে রেলওয়ে সেফটি কমিশনার এলাকা পরিদর্শন করবেন, এবং ১৭ জুনের পরে ভৈরবী-সাইরাং রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিড়ি-সিগারেট থেকেই আগুনের ফুলকি…তারপরেই বিস্ফোরণ! মেছুয়া কাণ্ডে এল প্রাথমিক রিপোর্ট
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানিয়েছেন, নতুন রেল প্রকল্পের দ্রুত সমাপ্তির জন্যপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা মিজোরামে সংযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য স্থানীয় পর্যটন বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র শিল্পকে সহায়তা করাএবং যাত্রী ও পণ্য পরিবহন খরচ কমানো। এটি মিজোরামের রাজধানীথেকে দেশের অন্যান্য অংশের মধ্যে ভ্রমণের সময় কমিয়ে আনবে, একইসাথে প্রয়োজনীয় সরবরাহের আরও ভাল উপলব্ধি এবং সমগ্র দেশে দীর্ঘদূরত্বের ভ্রমণ নিশ্চিত করবে।