পরিদর্শনের সময় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী চেতন কুমার শ্রীবাস্তব এবং উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে/নির্মাণ সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার শ্রী অরুণ কুমার চৌধারী এবং অন্যান্য বরিষ্ঠ রেলওয়ে ও নির্মাণ আধিকারিক তাঁর সঙ্গে ছিলেন। রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) শ্রী সতীশ কুমার দ্বারা ভৈরবী-সাইরাং নতুন লাইন রেল প্রকল্প পরিদর্শন অত্যন্ত তৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রেল সংযোগ করার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ। সফরকালে, তিনি রুটের ব্রিজ, টানেল এবং স্টেশন-সহ গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো পরিদর্শন করেন।আনুমানিক ৮০৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ৫১.৩৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ভৈরবী-সাইরাং নতুন লাইন রেল প্রকল্পটি ভারতীয় রেলওয়ের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিস্ময় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
advertisement
এই প্রকল্পটিতে ৪৮টি টানেল, ৫৫টি মেজর ব্রিজ এবং ৮৭টি মাইনর ব্রিজ রয়েছে। প্রকল্পটিতে মোট ১২,৮৫৩ মিটার দৈর্ঘ্যের টানেল রয়েছে, যার মধ্যে দীর্ঘতম টানেল (টানেল নং ৩) প্রায় ২ কিলোমিটার বিস্তৃত। ব্রিজ নং. ১৯৬-এর উচ্চতা ১১৪ মিটার যা কুতুব মিনারের চেয়ে ৪২ মিটার অধিক। এই প্রকল্পে ৫টি রোড ওভার ব্রিজ এবং ৬টি রোড আন্ডার ব্রিজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: পুরুষ সঙ্গীকে নিয়ে সারারাত গেস্ট হাউজে, সকাল হতেই মিলল বার ডান্সারের নিথর দেহ! আনন্দপুরে রহস্য
এই নতুন লাইন প্রকল্পে চারটি নতুন স্টেশন যথা হরতকী, কাউনপুই, মুয়ালখাং এবং সাইরাং-এর নির্মাণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রত্যাহ্বানপূর্ণ ভূখণ্ড সত্ত্বেও, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে আইজল পর্যন্ত রেল যোগাযোগ সম্প্রসারণে উল্লেখযোগ্য কাজ সম্পন্ন করেছে, এবং দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রকল্পটিকে বাস্তবিক রূপ দেওয়ার জন্য উল্লেখযোগ্য ভৌগোলিক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বাধা অতিক্রম করেছে।