রেলওয়ে মন্ত্রকের বোর্ড সদস্য, জোনাল, ডিভিশনাল এবং আরডিএসও আধিকারিকের মধ্যে আজ অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বিভিন্ন সুরক্ষার দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। স্বয়ংক্রিয় সিগনালিং, ক্রু-দের দীর্ঘ সময়, ইয়ার্ড আধুনিকীকরণ এবং ইয়ার্ড পরিকাঠামোর সুরক্ষা, ডাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম-এর বিভিন্ন সুরক্ষার দিকগুলির উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
আরও পড়ুন: বেহালায় বিরাট চুরি! ২০ লক্ষ টাকার গয়না লোপাট, অর্ধেক আপেল খেয়ে টেবিলেই রেখে গেল চোর
advertisement
এছাড়াও, তিনি একটি পাক্ষিক সুরক্ষা কার্য পরিকল্পনা ও নিয়মিত ভিত্তিতে এর পর্যালোচনায় নির্দেশ দেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলের অভিযোগ সুরক্ষা ব্যবস্থায় নজর দেওয়া হচ্ছে না। CAG রিপোর্ট হাতিয়ার করে তাদের বক্তব্য ছিল, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষ থেকে ১ লক্ষ কোটি টাকার ‘রাষ্ট্রীয় রেল সুরক্ষা কোষ’ গঠিত হয়। কিন্তু এই টাকা দিয়ে কোনও গুরুত্বপূর্ণ খরচ করা হয়নি।
উল্টে ট্র্যাক পুনর্নবীকরণের জন্য বরাদ্দ হ্রাস পেয়েছে, এমনই অভিযোগ করছেন বিরোধীরা। ২০২২ সালে সংসদে জমা দেওয়া রিপোর্টে ট্রেনের লাইনচ্যুত এবং সংঘর্ষ প্রতিরোধ করতে রেল মন্ত্রক কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে ক্যাগ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চের মধ্যে মোট ১,১২৭ টি লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: কনকনে শীতেও পাবেন এঁচোড়! এই পিং কাঁঠালের কী জানেন
এর মধ্যে ‘ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট’-এর গাফিলতির জন্য ৪২২টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আবার সবথেকে বেশি দুর্ঘটনা (১৭১ টি) ঘটেছে ট্র্যাকের রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের জন্য।’অপারেটিং ডিপার্টমেন্ট’-এর গাফিলতির জন্য ২৭৫ টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৮৪ শতাংশ হয়েছে পয়েন্টের ভুল সেটিংয়ের জন্য।
৬৩ শতাংশ ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রেল বেলাইন হওয়ার রিপোর্টই জমা পড়েনি এবং ৪৯ শতাংশ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের দ্বারা রিপোর্ট গ্রহণে বিলম্ব হয়েছে। মোট ৩৫০ জায়গায় তদন্ত হওয়ার দরকার থাকলেও তা হয়েছে মাত্র ১৬৯ জায়গায়। ১৮১টি ক্ষেত্রে কোনও তদন্ত রিপোর্টই জমা পড়েনি।