ভারতে ইউক্রেন (Russia Ukraine War) এবং রাশিয়ার যুদ্ধের প্রেক্ষিতে ফিরে এসেছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। অপারেশন গঙ্গার মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের ফিরিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। একইসঙ্গে আরও কয়েকজন সাংসদের লিখিত প্রশ্নেরও সরসারি জবাব এড়িয়ে গিয়েছে মোদি সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ভারতে মেডিক্যাল পড়াশোনার খরচ অত্যন্ত বেশি হওয়াতেই কি বিদেশে মেডিক্যাল পড়তে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে ভারতীয় পড়ুয়াদের।
advertisement
আরও পড়ুন : রুশ বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক মোদির, মার্কিন চাপের মুখেও কি ‘বন্ধু’র পাশে ভারত?
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে প্রথমে করোনা এবং তারপর ইউক্রেনে (Indian Medical Students In Ukraine) যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির কারণে যে সমস্ত পড়ুয়া তাঁদের ইন্টার্নশিপ শেষ করতে পারেননি, তাঁরা স্ক্রিনিং টেস্ট দিয়ে এদেশে ইন্টার্নশিপ শেষ করতে পারবেন। একটি নির্দেশিকা জারি করে এনএমসি জানিয়েছে, ফরেন মেডিক্যাল গ্র্যাজুয়েট পরীক্ষায় পাশ করে থাকলে সেই সমস্ত পড়ুয়ারা এদেশে তাঁদের বাকি থাকা ইন্টার্নশিপ শেষ করতে পারবেন এবং তাঁদের আবেদন গৃহীত হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই সিদ্ধান্তটি এখনও পর্যন্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। এমন একটি সময়ে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে সময়ে রাশিয়া ইউক্রেনে (Russia Ukraine War) ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে এবং ইউক্রেন থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা (Indian Medical Students In Ukraine)। ২০ হাজার ভারতীয় পড়ুয়া ইউক্রেনে মেডিক্যাল পড়ার জন্য গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। তাঁদের মধ্যে অনেকেই ইন্টার্নশিপের শেষপথে ছিলেন। ফলে এই অবস্থায় নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন : "পরীক্ষার চাপ মোকাবিলা করতে হলে...", শিক্ষার্থীদের ৫টি মোক্ষম টিপস প্রধানমন্ত্রী মোদির
ইউক্রেন নিয়ে চলতি অধিবেশনেই আলোচনার দাবি জানিয়েছিল বিরোধীরা। সংসদে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, "আমরা পরিষ্কারভাবে নির্দেশিকা জারি করেছি। আপনাদের বলব পড়ুয়াদের সমস্যা বুঝতে। আমার কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা রয়েছে। একটি বড় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের বলেছে, তাঁদের অনলাইন ক্লাস করানো হবে না। যদি তাঁরা চলে আসেন তাহলে তাঁদের ভবিষ্যত নষ্ট করে দেওয়া হবে। সমস্ত সদস্যকে একমত হতে হবে যে, সমস্ত পড়ুয়াকে ছেড়ে আসার জন্য নিরুৎসাহ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।" বিদেশমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, বিভিন্নরকমের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে সেই দেশের নেতাদের থেকে। বিদেশমন্ত্রী বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন, যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় ছেডে় আসতে নিষেধ করেছেন তাঁদের লক্ষ্য করছেন পড়ুয়ারা।