কর্মচারীকে জানলার ফাটল দিয়ে বাথরুমে উঁকি মারতে দেখেন এক ছাত্রী। সেই ছাত্রী বলেন, ''রবিবার কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণের কাজের জন্য ক্যান্টিনটি বন্ধ ছিল কিন্তু সেই সময় কর্মীরা ক্যাম্পাসেই ছিলেন। হোস্টেল বিল্ডিংয়ের কিছু উইংয়ের বাথরুমে গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে পাইপ-সহ একটি প্ল্যাটফর্মের মতো জায়গা রয়েছে, যা জানলার সঙ্গে সংযুক্ত।"
আরও পড়ুন: বোনেদের পাশে দাঁড়ানোর সময় এটা, চণ্ডীগড়ে ছাত্রীদের ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় সরব সোনু
advertisement
আইআইটি বম্বের একজন মুখপাত্র, "পাইপে উঠে মেয়েদের ব্যক্তিগত পরিসরে ঢোকার চেষ্টা করেছে সে। সকলের সতর্কতার জন্যই তাঁকে গ্রেফতার করা গিয়েছে।" মুখপাত্র জানালেন, অভিযুক্তের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা ফোনে কোনও ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে কিনা সে বিষয়ে ইনস্টিটিউট অবগত নয়।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে কোনও রেকর্ডিং পাওয়া যায়নি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করা জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
আরও পড়ুন: চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ ছাত্রীর স্নানের দৃশ্য ভিডিও করে সহপাঠী ছাত্রী, পোস্ট করে পুরুষ বন্ধু!
শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং বিশেষ করে বাথরুমের পরিকল্পনায় পরিবর্তনের দাবি করেছেন। ইনস্টিটিউট যদি ক্যান্টিন বন্ধও করে দেয়, তার পরেও যেন এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়ার জন্য।
মুখপাত্র বলেন, ''শুধুমাত্র মহিলাদের নিয়ে চালু হলে তবেই ক্যান্টিন আবার খোলা হবে। পাইপে যা ফাঁক ছিল, তা বন্ধ করা হয়েছ। অভিযুক্ত সম্ভবত পাইপের ফাঁকে দাঁড়িয়েই উঁকি মেরেছিল। নিরাপত্তা বাড়াতে আরও কী কী পদক্ষেপ নিতে পারি, তা নিয়ে মেয়েদের সঙ্গে আলোচনা করছি আমরা।"
এমনই সময়ে এই ঘটনাটি ঘটেছে যখন চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে। ৬০ মহিলা সহপাঠীর স্নানের ভিডিও মোবাইলে তুলে গ্রেফতার হয়েছে সেখানকারই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। শুধু তাই নয়, সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ভাইরালও করা হয় তাঁর এক বন্ধুর মাধ্যমে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগে আপাতত তোলপাড় দেশ।