ঠিক কী হয়েছিল তাঁদের সঙ্গে? শিশুকন্যার মা জানান, "২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জার্মান চাইল্ড সার্ভিস আমাদের মেয়েকে নিয়ে যায়। দুর্ঘটনাবশত সে নিজেই তার যৌনাঙ্গে আঘাত করে বসে। আমরা তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। সে ভাল আছে, এটা বলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এর পর আমরা ফলো আপ চেক আপে যাই। এ বারও ডাক্তার বলেন যে মেয়ে ভাল আছে। তবে এবার তিনি চাইল্ড সার্ভিসে ফোন করে মেয়েকে তাদের হেফাজতে দিয়ে দেয়। পরে আমরা জানতে পারি ওই ক্ষতচিহ্ন দেখে তিনি যৌন হেনস্থার কথা আশঙ্কা করছেন। " তরুণীর আরও সংযোজন যে পরবর্তীতে ডিএনএ পরীক্ষা, পুলিশি তদন্ত, মেডিক্যাল রিপোর্ট-সহ নানা ভাবে যৌন হেনস্থার আশঙ্কা খারিজ হয়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন : দিনমজুর থেকে জনপ্রিয় ইউটিউবার হয়ে প্রথম বার বিমানে উঠলেন ৬২ বছর বয়সি প্রৌঢ়া
কিন্তু এর পরও তাঁরা মেয়েকে ফিরে পাননি। জার্মান চাইল্ড সার্ভিস তাঁদের নামে মামলা রুজু করে। আদালতের কাছে তাঁদের পেরেন্টাল এবিলিটি টেস্ট দিতে হয়। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও তাঁদের কাছে মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি বলে শিশুর বাবার অভিযোগ। এমনকী, তাকে ভারতে ফিরিয়ে দেওয়ার বা কোনও ভারতীয় ভাষা শেখানোর অনুমতিও মেলেনি। এর মধ্যেই চাকরি হারান ওই শিশুকন্যার বাবা। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা থেকে চাকরি হারানোর পর বর্তমানে ঋণের জালে তাঁরা জর্জরিত।
আরও পড়ুন : ১৩ বছরের কিশোরের সন্তানের মা হতে চলেছেন ৩১ বছর বয়সি মহিলা
প্রতি মাসে মাত্র এক বার এক সমাজকর্মীর তত্ত্বাবধানে তাঁরা মেয়েকে দেখতে পান। আরও বেশ সময় মেয়ের কাছে থাকতে চাওয়ার অনুমতিও পাননি। আদালতের নির্দেশ চাইল্ড কেয়ার ঠিকমতো মানছে না বলে অভিযোগ তাঁদের। মেয়েকে ফিরে পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করছেন এই অসহায় দম্পতি। তাঁদের পরিস্থিতি মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০২৩ সালের আসন্ন হিন্দি ছবি 'মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সাস নরওয়ে'-কে।