এই ঘটনা ঘটে মেরঠ–কর্ণাল হাইওয়ের ভূনি টোল প্লাজায়। পুলিশ জানিয়েছে, কপিল কাভাদ তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে দিল্লি বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন, সেখান থেকে শ্রীনগরে ডিউটিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। পথে দীর্ঘ গাড়ির লাইনে আটকে পড়ায় কপিল তাড়াহুড়ো করে কর্মীদের অনুরোধ করেন, কিন্তু তা থেকেই বিবাদের সূত্রপাত।
advertisement
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে আরও অভিযুক্তদের শনাক্ত করার জন্য।
এই ঘটনার পর ক্ষুব্ধ স্থানীয় গ্রামবাসীরা টোল প্লাজায় হামলা চালান। ব্যাপক ভাঙচুর হয়, টোল আদায় বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং পুলিশ ও টোল কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পুলিশের বিবরণ অনুযায়ী, কপিল ছুটিতে ছিলেন এবং ডিউটিতে ফেরার পথে টোল প্লাজায় ঘটনাটি ঘটে। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, গাড়ির লম্বা লাইনে আটকে থাকায় তিনি তাঁর তাড়ার কথা টোল কর্মীদের জানান, কিন্তু এরপরই তারা তাঁকে মারধর করে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এক মামলা দায়ের হয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনার পর বহু গ্রামবাসী প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন। এই ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকা জুড়ে।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনার কয়েক সপ্তাহ আগেই উত্তর প্রদেশের দেউরিয়া জেলায় এক ৬৫ বছর বয়সী প্রাক্তন সেনা জওয়ানকে তাঁর প্রতিবেশী পিটিয়ে হত্যা করেন। মৃতের নাম রামদয়াল কুশওয়াহা, তিনি ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। প্রতিবেশী বিজয় বিন্দ তাঁর জমির মধ্য দিয়ে গাড়ি চালাতে গেলে রামদয়াল বাধা দেন, যার জেরে বিবাদ সৃষ্টি হয় এবং তাঁকে মারধর করে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
এই দুটি ঘটনা দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এবং সেনা সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।