রাজস্থানের ঝুনঝনুর বাসিন্দা সুরেন্দ্র ১৪ বছর ধরে বায়ুসেনায় কর্মরত ছিলেন। সেনার তরফে তাঁর শ্যালক জয়প্রকাশকে এই মৃত্যুসংবাদ দেওয়া হয়। সুরেন্দ্রর কাকা সুভাষ মোগা জানান, ছোটবেলা থেকেই সেনাবাহিনীতে যোগদানের প্রবল ইচ্ছা ছিল তাঁর ভাইপোর। এলাকায় যেতেই তরুণদের সেনায় যোগ দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন সুরেন্দ্র। অত্যন্ত প্রাণোচ্ছল এবং পরোপকারী স্বভাবের মানুষ ছিলেন তিনি।
advertisement
বিয়ের রাতে নাচের পর চুপচাপ শৌচালয়ে ঢুকেছিলেন কনে, পিছু নিলেন মা…দরজা খুলতেই চিৎকার!
মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই, এপ্রিল মাসে ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলেন সুরেন্দ্র। পরিবারের সঙ্গে কিছুদিন কাটিয়ে ১৫ এপ্রিল ফের কাজে যোগ দেন। সম্প্রতি নিজে হাতে তৈরি করেছেন একটি নতুন বাড়িও। কাজে যোগ দেওয়ার ঠিক আগেই সেই বাড়িতে গৃহপ্রবেশ সম্পন্ন হয়েছিল।
সুরেন্দ্রর পরিবারে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী সীমা ও দুই শিশু সন্তান। তাঁদের বয়স যথাক্রমে আট ও পাঁচ বছর। ঘটনার সময় সীমা ছিলেন বাপের বাড়িতে। সেখানেই স্বামীর মৃত্যুসংবাদ পান তিনি। মর্মান্তিক সেই খবরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সুরেন্দ্রর বাবা শিশুপাল কুমার ছিলেন সিআরপিএফ কর্মী। পরিবারজুড়ে একাধিক সদস্য দেশের সেবায় নিয়োজিত। আরেকবার শোকস্তব্ধ হল এই পরিবার, দেশ হারাল এক সৎ ও কর্তব্যনিষ্ঠ সৈনিককে।
