পৃথিবীর অক্ষে প্রথম যান মানববিহীন ভাবে এই প্রদক্ষিণ করবে। পরবর্তীতে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের।
ইতিমধ্যেই রকেটের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ছাড়াও মানববাহী মহাকাশযানের যন্ত্রাংশ মহাকাশযান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র সতীশ ধবন স্পেস সেন্টারে আনার কাজ শুরু হয়ে গেছে। এবং বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারেও শুরু হয়েছে মহাকাশ গবেষণার নানান পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ।
এই প্রসঙ্গে ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, “আজ, আমরা চেষ্টা করছি গগনযান জি১ প্রথম মিশনেই যাতে সাফল্য অর্জন করে তা দেখার। ইতিমধ্যেই সব কাজ ঠিক ভাবেই এগোচ্ছে আশা করা যায় আমরা শীঘ্রই সফল হবো।”
advertisement
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে স্কুলে দুর্ঘটনা , অসুস্থ ১৪ শিশু
ক্রিউ মডেল ভিএসএসসি ত্রিভান্দ্রামে তৈরি সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা পুরো তারের ওয়ারিং এবং টেস্টিং-এর কাজ সম্পন্ন করে ফেলেছি। আমরা চেষ্টা করছি নভেম্বরের মধ্যে গোটা সিস্টেম তৈরি করে ফেলা। ফলে খুব সহজেই আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হবো।”
ইতিমধ্যেই এসএসএলভির সফল উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। ফলে ভারতের পক্ষে গগনযানের পথ আরও সুগম হয়েছে বলেই মত ইসরোর চেয়ারম্যানের। তাঁর আরও অভিমত, ইসরো আগে এই ধরনের অভিযান করেনি ফলে এটা সর্বাত্মক ভাবে একটা বিশাল বড় চ্যালেঞ্জ।
এসএসএলভির মূল কিছু বৈশিষ্ট্য হল- মহাকাশে এটি অত্যন্ত নিম্ন খরচের। এছাড়াও লঞ্চ অন ডিম্যান্ডও এই রকেটে পাওয়া যায়। ফলে খুব সহজেই এই ধরনের অভিযানের ক্ষেত্রে এই রকেট কার্যকরী।